সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫
আজ আমরা জানবো সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫ সহ বিস্তারিত সমাধান কারন বর্তমানে মোবাইল অপারেটরগুলো বিভিন্ন সার্ভিস চালু রাখার মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যালেন্স কেটে নেয়, যা অনেকেই বুঝতে পারেন না।
বিশেষ করে অপ্রয়োজনীয় ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS) চালু থাকার কারণে অনেকের অজান্তেই টাকা কেটে নেওয়া হয়। তাই সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫ সহ বিস্তারিত সমাধান জানতে দ্রুত মূল আলোচনায় চলে যান।
সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস কীভাবে কাজ করে?
সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫ সম্পর্কে জানার আগে জানতে হবে সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস কীভাবে কাজ করে? আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি, আর বিভিন্ন সময় আমাদের ফোনে কিছু বাড়তি সার্ভিস চালু হয়ে যায় যেমন রিংটোন, নিউজ আপডেট, মিসড কল অ্যালার্ট ইত্যাদি।
এসব সার্ভিসকে বলা হয় ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS)। শুনতে ভালো লাগলেও সমস্যা হয় তখন, যখন এই সার্ভিসগুলো আমাদের অজান্তেই চালু হয়ে যায় আর প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে অল্প অল্প করে টাকা কেটে নেয়।
আরও পড়ুনঃ
কিন্তু এই টাকা কাটা আসলে কীভাবে হয়?
বেশিরভাগ ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসই সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক মানে, আপনি একবার চালু করলে সেটা নির্দিষ্ট সময় পরপর টাকা কেটে নেয়। অনেক সময় আমরা ভুল করে কিংবা না বুঝে কোনো এসএমএসে রিপ্লাই দিই বা একটা পপ আপে "OK" চাপ দিই আর তখনই সার্ভিসটা চালু হয়ে যায়।
উদাহরণ দিয়ে বলি,
গ্রামীণফোন (GP) প্রায়ই পপ-আপ মেসেজ পাঠায় যেখানে আমরা না বুঝে "Yes" চাপলে সার্ভিস চালু হয়ে যায়।
রবি ও এয়ারটেল এদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কল আসলে বা কোনো নাম্বার ডায়াল করলে নিজে থেকে সার্ভিস চালু হয়ে যেতে পারে।
এরপর আপনি খেয়াল না করলেও প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে টাকা কাটা শুরু হয়। অনেক সময় এটা এতটাই গোপনে হয় যে আমরা শেষ পর্যন্ত বুঝতেই পারি না আমাদের টাকা কোথায় যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন থাকা খুব দরকার। যদি এমন কোনো সার্ভিস চালু হয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করার চেষ্টা করবেন বা কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে সাহায্য নিবেন।
টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার সহজ উপায় ২০২৫
আমরা অনেকেই খেয়াল করি ন, কিন্তু হঠাৎ দেখি ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে কোনো কল দিইনি, কোনো ইন্টারনেট চালাইনি তারপরও টাকা কাটছে এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বা VAS। এসব সার্ভিসে রিংটোন, মিসড কল অ্যালার্ট, নিউজ আপডেট ইত্যাদি থাকে যেগুলো অনেক সময় না বুঝেই চালু হয়ে যায়।
ভালো খবর হলো এসব সার্ভিস খুব সহজেই বন্ধ করা যায়। চলুন দেখি ২০২৫ সালে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক ও টেলিটকের VAS বন্ধ করার সহজ উপায়গুলো:
গ্রামীণফোন (GP)
- USSD কোড: 12161# ডায়াল করুন।
- এসএমএস: ‘Stop all’ লিখে পাঠান 2332 নম্বরে।
- কাস্টমার কেয়ার: ১২১ নম্বরে কল করে ১ চাপুন (বাংলার জন্য), এরপর ৬ চাপুন, তারপর মেসেজে গিয়ে ১ চাপলেই সব বন্ধ হবে।
রবি (Robi) ও এয়ারটেল (Airtel)
- USSD কোড: *9# ডায়াল করুন।
- এসএমএস: যে নাম্বার থেকে সার্ভিসের মেসেজ আসে, সেখানে শুধু 'STOP' লিখে রিপ্লাই দিন।
- কাস্টমার কেয়ার: ১২১ নম্বরে কল করে সার্ভিস বন্ধ করার কথা বলুন।
বাংলালিংক (Banglalink)
- USSD কোড: 121712*1# ডায়াল করুন।
- কাস্টমার কেয়ার: ১২১ নম্বরে কল করে বলুন কোন সার্ভিস বন্ধ করতে চান।
টেলিটক (Teletalk)
- এসএমএস: ‘STOP ALL’ লিখে 335 নম্বরে পাঠিয়ে দিন।
- কাস্টমার কেয়ার: ১২১ নম্বরে কল করলেই সাহায্য পাবেন।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- অপরিচিত নম্বর থেকে আসা কল বা এসএমএসে কখনও কোনো অপশন চাপবেন না।
- হঠাৎ কোনো পপ-আপ আসলে ভালোভাবে পড়ে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
- সিমে অপ্রয়োজনীয় কোনো সার্ভিস চালু হয়েছে কি না মাঝে মাঝে চেক করুন।
- কোনো সন্দেহ হলে সরাসরি অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন।
সবচেয়ে বড় কথা আপনি যদি একটু সচেতন থাকেন, তাহলে এই ধরনের টাকা কাটার ঝামেলা থেকে সহজেই মুক্ত থাকতে পারবেন। প্রয়োজন নেই অযথা টাকা খরচের!
GP, Robi, Banglalink, Airtel, Teletalk সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধের কোড
আমরা অনেকেই খেয়াল করি না কিন্তু আমাদের সিমে অনেক সময় এমন কিছু সার্ভিস (VAS – ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) চালু হয়ে যায় যেগুলো আমাদের অজান্তেই প্রতি সপ্তাহে বা মাসে ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেয়। এই সার্ভিসগুলো বন্ধ করা কিন্তু খুব সহজ। নিচে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটরগুলোর জন্য ২০২৫ সালের হালনাগাদ কোড ও পদ্ধতি দেওয়া হলো,
কোন অপারেটরের কোন কোড?
অপারেটর বন্ধ করার উপায়
গ্রামীণফোন (GP) 12161# ডায়াল করুন
রবি (Robi) ও এয়ারটেল (Airtel) *9# ডায়াল করুন
বাংলালিংক (Banglalink) 121712*1# ডায়াল করুন
টেলিটক (Teletalk) “STOP ALL” লিখে পাঠান 335 নম্বরে
এই কোড বা এসএমএস ব্যবহার করলেই আপনি সহজেই এই সব পেছনে টাকা কাটার সার্ভিসগুলো বন্ধ করে দিতে পারবেন।
প্রতারণা থেকে বাঁচতে কী করবেন?
ভুয়া অফার, অচেনা নম্বর বা লিংকে ক্লিক করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার আগে নিচের বিষয়গুলো মনে রাখুন,
- ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না
- আপনার ব্যাংকের পাসওয়ার্ড, পিন, ওটিপি বা কার্ড নম্বর কারো সাথে শেয়ার করবেন না যদিও কেউ নিজেকে ব্যাংকের লোক বলে পরিচয় দেয়।
অজানা কল ও মেসেজে সাবধান
"আপনি লটারি জিতেছেন", "কেওয়াইসি আপডেট করুন", এসব মেসেজ বা কল বেশিরভাগ সময় ভুয়া হয়। ভুলেও আপনার তথ্য দেবেন না।
অনলাইন লেনদেনে সতর্কতা
কোনো লেনদেন করার আগে দেখুন ওয়েবসাইট ঠিক আছে কিনা। যেটা 'https' দিয়ে শুরু হয়, সেটাই নিরাপদ। সন্দেহজনক কিছু দেখলে লেনদেন করবেন না।
OTP কাউকে দেবেন না
ওটিপি হচ্ছে আপনার একবারের গোপন পাসওয়ার্ড। কেউ যদি চায়, বুঝে নিন ওই চেষ্টাটাই প্রতারণা।
ব্যাংক লেনদেন নোটিফিকেশন চালু রাখুন
আপনার মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ব্যাংকে রেজিস্টার করে রাখলে প্রতিবার লেনদেনে মেসেজ পাবেন। এতে সন্দেহজনক কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারবেন।
ফোন ও কম্পিউটারে সিকিউরিটি আপডেট রাখুন
স্মার্টফোন বা কম্পিউটার আপডেট রাখলে অনেক হ্যাকিং অ্যাটাক ঠেকানো যায়। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করলেও ভালো হয়।
অপরিচিত লিংকে ক্লিক নয়
কোনো মেসেজ বা ইমেইলে থাকা অচেনা লিংকে ক্লিক না করাই ভালো এর মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে ভাইরাস ঢুকে যেতে পারে।
ইউপিআই বা অনলাইন মানি রিকোয়েস্ট যাচাই করে নিন
কেউ যদি হঠাৎ ইউপিআই পেমেন্ট চায় বা রিকোয়েস্ট পাঠায়, চেনা না হলে কখনো অ্যাকসেপ্ট করবেন না। এতে টাকা সরেও যেতে পারে।
সচেতন থাকলেই আপনি মোবাইল বা অনলাইন প্রতারণা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। সব সময় নিজের তথ্য নিজেই নিরাপদে রাখুন, সন্দেহ হলে যাচাই করে নিন, আর এসব ছোট কোড বা নিয়ম মনে রাখলে টাকা কাটা থেকেও বাঁচতে পারবেন।
টাকা কাটার প্রতারণা এড়াতে কী করবেন? (প্রয়োজনীয় টিপস)
টাকা কাটার প্রতারণা থেকে বাঁচতে কিছু দরকারি সাবধানতা নিচে তুলে ধরা হল,
নিজের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখুন
আপনার ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড, পিন, ওটিপি বা কার্ডের সিভিভি নাম্বার কখনোই কারও সাথে শেয়ার করবেন না। এমনকি কেউ যদি নিজেকে ব্যাংকের লোক বলে পরিচয় দেয়, তাহলেও আগে যাচাই না করে কোনো তথ্য দেবেন না।
অচেনা ফোন আর মেসেজে সাবধান
"লটারি পেয়েছেন", "আপনার KYC আপডেট করুন", "বিশেষ অফার চলছে" এই ধরনের মেসেজ বা কল বেশিরভাগ সময়ই প্রতারণা। এসবের ফাঁদে পড়ে নিজের তথ্য দেবেন না।
অনলাইন কেনাকাটা বা লেনদেনে সচেতন থাকুন
যে ওয়েবসাইটে https দিয়ে শুরু হয় না, সেগুলোতে কার্ড বা ব্যাংক তথ্য দেবেন না। সন্দেহজনক ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকুন।
ওটিপি কারো সাথে শেয়ার করবেন না
ওটিপি হলো একবার ব্যবহারের কোড, যেটা ছাড়া কোনো লেনদেন সম্পন্ন হয় না। কেউ জিজ্ঞেস করলে মনে রাখবেন ওটিপি কাউকে বলা মানে নিজের টাকা অন্যকে দিয়ে দেওয়া।
ব্যাংকিং নোটিফিকেশন চালু রাখুন
আপনার মোবাইল নম্বর আর ইমেইল ঠিকমতো ব্যাংকে নিবন্ধন করে রাখুন। তাহলে টাকা লেনদেনের সময় সাথে সাথে মেসেজ পাবেন। কোনো অচেনা লেনদেন দেখলে সাথে সাথে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন।
ফোন বা কম্পিউটারে নিরাপত্তা আপডেট রাখুন
স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না
অচেনা ইমেইল, ফেসবুক পোস্ট বা এসএমএসে থাকা লিঙ্কে না বুঝে ক্লিক করলে হ্যাকাররা আপনার ফোন থেকে তথ্য চুরি করতে পারে।
UPI ব্যবহারেও সতর্কতা দরকার
যদি কেউ অজানা ইউপিআই রিকোয়েস্ট পাঠায়, সেটি অ্যাকসেপ্ট করবেন না। কারণ একবার গ্রহণ করলে টাকা কেটে নেওয়া খুব সহজ হয়ে যায়।
এই ছোট ছোট সাবধানতাগুলো মেনে চললে আপনি নিজেকে অনেক বড় প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে পারবেন। মনে রাখুন, একটু সচেতন হলেই অনেক বিপদ এড়ানো যায়।
উপরোক্ত টিপস মেনে চললে আপনি টাকা কাটার প্রতারণা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। এটি সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করে।
সিম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে কল করে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করুন
আমরা অনেক সময় দেখি, মোবাইলের ব্যালেন্স হঠাৎ কমে যাচ্ছে কোনো কিছু না করেও। এর পেছনে কারণ হতে পারে কিছু ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS), যেগুলো অনেক সময় আমাদের অজান্তেই চালু হয়ে যায়। যেমন: রিংটোন, সংবাদ আপডেট, ইসলামিক মেসেজ, খেলার খবর ইত্যাদি।
এই সার্ভিসগুলো বন্ধ করতে যা করতে হবে, সেটা নিচে সহজভাবে জানিয়ে দিচ্ছি প্রতিটা মোবাইল অপারেটরের জন্য আলাদা নির্দেশনা:
গ্রামীণফোন (GP)
১. আপনার মোবাইল থেকে ১২১-এ কল করুন।
২. ভাষা নির্বাচনের জন্য ‘১’ চাপুন (বাংলা)।
৩. এরপর অপশন থেকে ‘৬’ চাপুন।
৪. কিছুক্ষণ পর একটা মেসেজ আসবে সেখানে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করতে ‘১’ চাপলেই হয়ে যাবে।
রবি (Robi) বা এয়ারটেল (Airtel)
১. ১২১ নম্বরে কল দিন।
২. কলের মধ্যে যখন অপারেটরের সাথে কথা বলার সুযোগ আসবে, তখন সরাসরি বলুন "বন্ধ করতে চাই"।
৩. তারা আপনার টাকা কাটার সব সার্ভিস বন্ধ করে দেবে।
বাংলালিংক (Banglalink)
১. ১২১ নম্বরে কল দিন।
২. কাস্টমার কেয়ারে বলে দিন, আপনি আর কোনো অফার বা প্রমোশনাল মেসেজ পেতে চান না।
৩. তারা আপনার সিমে চালু থাকা অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস বন্ধ করে দেবে।
টেলিটক (Teletalk)
১. ১৫৮ নম্বরে কল করুন।
২. কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলার পর বলুন, আপনি টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করতে চান।
৩. তারা আপনাকে গাইড করে ঠিকমতো বন্ধ করে দেবে।
কিছু বাড়তি পরামর্শ
- অজানা নাম্বার বা লিঙ্ক থেকে আসা মেসেজে রিপ্লাই দেবেন না বা কোনো কিছুতে ক্লিক করবেন না।
- নতুন কোনো অফার চালু হলে আগে ভালোভাবে পড়ে দেখুন, তারপরই সাবস্ক্রাইব করুন।
- আপনার মোবাইল ব্যালেন্সে বারবার নজর রাখুন।
উপরের তথ্যগুলো সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করে।
ইন্টারনেট ডাটা শেষ হলে টাকা কাটার সমস্যা সমাধানের উপায়
সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড জানার পাশাপাশি জানতে হবে ইন্টারনেট ডাটা শেষ হলে টাকা কাটার সমস্যা সমাধানের উপায়। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে করতে হঠাৎ করে এমবি শেষ হয়ে গেল আর সঙ্গে সঙ্গে দেখলেন ব্যালেন্স থেকেও টাকা কেটে গেছে। এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়েছে, তাই না?
আসলে, বেশিরভাগ মোবাইল অপারেটরে এমবি শেষ হয়ে গেলে তারা Pay-Per-Use (PPU) চালু করে দেয় যার মানে আপনি ডাটা না কিনলেও টাকা কেটে নিয়ে আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়। এই সিস্টেমটা যদি বন্ধ করে দেন, তাহলে আর এমন সমস্যা হবে না।
চলুন দেখে নেই কোন অপারেটরে কীভাবে এই টাকাকাটা বন্ধ করবেন:
রবি (Robi) ব্যবহারকারীরা যা করবেন
- মোবাইল থেকে *8444# ডায়াল করুন
- মেনু আসবে – সেখান থেকে ৪ নম্বর অপশন দিন
- এরপর ১ চাপুন
এভাবে PPU বন্ধ হয়ে যাবে। মানে, এমবি না থাকলে ইন্টারনেট চলবে না, আর আপনার টাকা কাটা হবে না।
এয়ারটেল (Airtel) ব্যবহারকারীদের জন্য
- ফোনে এই কোডটি ডায়াল করুন: 84449999#
- এতে আপনার সিমে ১ এমবির একটা প্যাক চালু হবে (মেয়াদ ১০ বছর!)
- এই প্যাক থাকলে এমবি শেষ হলেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে, ফলে টাকা কাটা হবে না।
গ্রামীণফোন (GP) ও বাংলালিংক (Banglalink)
- এই দুটি অপারেটরে এখনো এমন সরাসরি কোড চালু হয়নি। তবে চিন্তার কিছু নেই। আপনি চাইলে নিচের মতো করে নিজের ফোন থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারেন।
ফোনের Settings এ যান
“Data usage limit” বা “Data warning” অপশন খুঁজে বের করে নির্দিষ্ট লিমিট সেট করে দিন। এতে নির্দিষ্ট এমবি ব্যবহারের পর ফোনই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেবে। টাকা কাটবে না।
অথবা সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে (১২১) ফোন করে বলে দিন আমার এমবি শেষ হলে যেন আর ব্যালেন্স না কাটে। ওরা দ্রুত সমাধান দিয়ে দেবে।
কিছু দরকারি টিপস
- ডাটা লিমিট সেট করুন – অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন ব্যবহার করেন যেটাই হোক, আপনার ফোনেই এমন অপশন থাকে যাতে আপনি আগে থেকেই বলে দিতে পারেন কতটুকু ডাটা ব্যবহার করতে চান। এরপর সেই সীমা ছাড়িয়ে গেলে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে।
- অব্যবহৃত ডাটা রোলওভার সুবিধা – এখন কিছু অপারেটর এমন সুবিধা দিচ্ছে, আগের প্যাকেজে যতটুকু এমবি অব্যবহৃত থাকবে, তা নতুন প্যাকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। তাই প্যাক কেনার আগে একবার দেখে নিন আপনার অপারেটর এই সুবিধা দিচ্ছে কিনা।
উপরের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি ইন্টারনেট ডাটা শেষ হয়ে গেলে ব্যালেন্স কাটা রোধ করতে পারেন। নির্দিষ্ট অপারেটরের জন্য সর্বশেষ তথ্য ও সমাধানের জন্য তাদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
SMS বা USSD কোড দিয়ে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করুন
সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড জানার পাশাপাশি জানতে হবে SMS বা USSD কোড দিয়ে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করুন। আমরা অনেকেই খেয়াল করে দেখি, মোবাইলে হঠাৎ হঠাৎ ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে কিন্তু বুঝতে পারছি না টাকা কেটে যাচ্ছে কেন।
আসলে বেশিরভাগ সময় এর পেছনে থাকে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS) নামের কিছু সুবিধা যা আমাদের না জানিয়ে চালু করে দেওয়া হয়। যেমন: নিউজ আপডেট, রিংটোন, জোকস, হরোস্কোপ, রেজাল্ট সার্ভিস ইত্যাদি।
ভাল কথা হলো এই সার্ভিসগুলো খুব সহজেই বন্ধ করা যায়, আর তার জন্য আপনার শুধু ফোনটিই যথেষ্ট।
চলুন দেখি, কোন অপারেটরে কীভাবে VAS বন্ধ করবেন,
গ্রামীণফোন (GP)
- মোবাইল থেকে 1216*1# ডায়াল করুন
- এর মাধ্যমে আপনার সিমে থাকা অপ্রয়োজনীয় সব VAS সার্ভিস একসাথে বন্ধ হয়ে যাবে।
যদি আপনি প্রমোশনাল মেসেজ (যেমন অফার, বিজ্ঞাপন) পেতে না চান, তাহলে 1211101# ডায়াল করে DND (Do Not Disturb) চালু করে নিন।
বাংলালিংক (Banglalink)
- আপনার সিমে যদি কোনো সার্ভিস অজান্তেই চালু হয়ে থাকে, তাহলে 121712*1# ডায়াল করুন
- এতে সব VAS বন্ধ হয়ে যাবে।
রবি (Robi) এবং এয়ারটেল (Airtel)
- এই দুটি অপারেটরে একই পদ্ধতিতে VAS বন্ধ করা যায়। মোবাইল থেকে *9# ডায়াল করলেই সব VAS বন্ধ হয়ে যাবে।
- খুবই সহজ, এক মিনিটের কাজ।
টেলিটক (Teletalk)
- এসএমএস অপশন থেকে STOP ALL লিখে পাঠিয়ে দিন 335 নম্বরে।
- এর মাধ্যমে সব সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে।
কিছু বাড়তি টিপস
- মাসে অন্তত একবার চেক করুন কোনো নতুন সার্ভিস চালু হয়েছে কিনা।
- ব্যালেন্স কমে গেলে আগে USSD ডায়াল করে দেখে নিন কোনো VAS চালু আছে কিনা।
- আর সবচেয়ে ভালো হয়, যদি আপনি প্রমোশনাল মেসেজ ও অফার পেতে না চান, তাহলে DND চালু করে রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস চালু থাকলে কীভাবে ডিঅ্যাক্টিভ করবেন?
সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড জানার পাশাপাশি জানতে হবে অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস চালু থাকলে কীভাবে ডিঅ্যাক্টিভ করবেন? আমরা অনেকেই হঠাৎ করে দেখি মোবাইলে কোনো ব্যবহার না করেও টাকা কেটে গেছে।
আসলে অনেক সময় ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS) নামে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা অটো চালু হয়ে যায়, যা আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু বেশিরভাগ সময় এগুলো অজান্তেই চালু হয় এবং রেগুলার টাকা কেটে নেয়।
ভাগ্য ভালো যে, এই সার্ভিসগুলো একেবারে নিজেই ঘরে বসে বন্ধ করা যায়, শুধুমাত্র একটি কোড ডায়াল করলেই হয়।
চলুন এক নজরে দেখে নেই কোন অপারেটরে কিভাবে বন্ধ করবেন এই সার্ভিসগুলো:
গ্রামীণফোন (GP) ব্যবহারকারীরা কী করবেন?
- মোবাইল থেকে এই কোডটি ডায়াল করুন 1216*1#
- এই কোডে আপনি সরাসরি চালু থাকা VAS সার্ভিসগুলো বন্ধ করতে পারবেন।
আর যদি আপনি কাস্টমার কেয়ারে কল করতে চান, তাহলে
- ১২১ নম্বরে ফোন করে প্রথমে বাংলার জন্য ১ চাপুন, তারপর ৬ চাপুন। এরপর এসএমএস আসবে যেখানে আপনি ১ চাপলেই টাকা কাটার সার্ভিসগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
রবি (Robi) ও এয়ারটেল (Airtel) ব্যবহারকারীদের জন্য
- সরাসরি মোবাইল থেকে ডায়াল করুন *9#
- এটি ডায়াল করলে সব অপ্রয়োজনীয় VAS বন্ধ হয়ে যাবে।
অথবা, কাস্টমার কেয়ারে কল দিন ১২১
কল করার পর "বন্ধ" বলুন, ওখান থেকেই অপারেটর আপনাকে গাইড করবে কিভাবে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করবেন।
বাংলালিংক (Banglalink) ব্যবহারকারীদের জন্য
- ডায়াল করুন 121712*1#
- এই কোডটি ডায়াল করলেই আপনার সিমে চালু থাকা সব VAS বন্ধ হয়ে যাবে।
টেলিটক (Teletalk) ব্যবহারকারীদের জন্য
- মেসেজ অপশনে যান, লিখুন STOP ALL
- তারপর পাঠিয়ে দিন 335 নম্বরে।
- এই মেসেজ পাঠালেই সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে।
বাড়তি কিছু উপদেশ
- নিয়মিত নিজের ব্যালেন্স চেক করুন আর খেয়াল রাখুন অজান্তে কোনো সার্ভিস চালু হয়ে গেছে কিনা।
- ডাটা প্যাক শেষ হয়ে গেলে যেন ব্যালেন্স থেকে টাকা না কাটা হয়, সেজন্য আগেই PPU বন্ধ করে রাখুন।
- সময় পেলেই উপরের কোডগুলো ব্যবহার করে চেক করে নিন—আপনার সিমে কোনো সার্ভিস চালু আছে কিনা।
আমরা সবাই চাই আমাদের মোবাইল ব্যালেন্স নিরাপদ থাকুক। একটু সচেতন থাকলে এবং এই ছোট্ট কোডগুলো মনে রাখলে আপনি ব্যালেন্স কাটার ঝামেলা থেকে নিজেই মুক্তি পেতে পারেন কোনো দোকানে না গিয়েই, কোনো অ্যাপ না খুলেই।
মোবাইল ব্যালেন্স কাটা রোধে গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পরিবর্তন করুন
সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড জানার পাশাপাশি জানতে হবে মোবাইল ব্যালেন্স কাটা রোধে গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পরিবর্তন করুন। আপনার সিমে অনেক সময় অজান্তেই এমন কিছু সার্ভিস চালু হয়ে যায়, যা নিয়মিতভাবে আপনার ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নিয়ে যায়। এই সার্ভিসগুলো বন্ধ করার জন্য নিচের কোডগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
১. ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (VAS) বন্ধ করুন
গ্রামীণফোন (GP)
ডায়াল করুন 1216*1#
অথবা কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জানিয়ে দিন যে আপনি VAS বন্ধ করতে চান।
রবি (Robi) ও এয়ারটেল (Airtel)
- ডায়াল করুন *9#
- বা কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে “বন্ধ” বলে অনুরোধ করুন।
বাংলালিংক (Banglalink)
- ডায়াল করুন 121712*1#
টেলিটক (Teletalk)
- এসএমএস লিখুন 'STOP ALL' এবং পাঠান 335 নম্বরে।
২. মোবাইল ডেটা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন
মোবাইলে কিছু অ্যাপ্লিকেশন এমন থাকে যা ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার করে, যার ফলে আপনার ব্যালেন্স হঠাৎ করে কমে যেতে পারে। এর জন্য
ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করুন
- আপনার ফোনের "ডেটা ইউসেজ" সেটিংসে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করে দিন।
অটো-আপডেট বন্ধ রাখুন
- গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে গিয়ে অ্যাপগুলোর স্বয়ংক্রিয় আপডেট বন্ধ করে রাখুন।
৩. ইন্টারন্যাশনাল রোমিং ও প্রিমিয়াম সার্ভিস নিষ্ক্রিয় করুন
কখনো কখনো ইন্টারন্যাশনাল রোমিং অথবা প্রিমিয়াম সার্ভিস অজান্তেই সক্রিয় হয়ে যায়, যা ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নিতে পারে। এর ক্ষেত্রে, সরাসরি আপনার অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে এসব সার্ভিস নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করুন।
৪. সন্দেহজনক লিঙ্ক বা এসএমএস এড়িয়ে চলুন
অপরিচিত বা সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করলে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হতে পারে, যার ফলে আপনার ব্যালেন্স থেকে টাকা কাটা হতে পারে। তাই,
- অজানা মেসেজ বা ইমেইল থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
- সন্দেহ হলে নিরাপদে লিঙ্কটি এড়িয়ে চলুন।
উপরের পদক্ষেপগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই নিজের মোবাইল সিমে চালু থাকা অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসগুলো বন্ধ করে রাখবেন এবং ব্যালেন্স থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত টাকা কাটার সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।
লেখকের মন্তব্য
সবশেষে বলবো অপ্রয়োজনীয় টাকা কাটার ঝামেলা এড়াতে উপরের সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করার কোড ২০২৫ অনুসরণ করুন এবং দরকার নেই এমন সার্ভিস বন্ধ রাখুন। এতে ব্যালেন্স থাকবে নিরাপদ। পোস্টটি উপকারে এলে শেয়ার করুন আর মতামত বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ!
vai khub upokari content diyechen, thank you