হুন্ডি কি এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে ২০২৪
ভূমিকা
হুন্ডি ব্যবসা কি
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে এটা জানার আগে জানতে হবে হুন্ডি ব্যবসা কি। হুন্ডি ব্যবসা মানে হলো এমন এক ধরনের অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি, যেখানে ব্যাংক বা কোনো অফিসিয়াল আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকে না। এই ব্যবস্থা মূলত দক্ষিণ এশিয়া আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশি দেখা যায়। সাধারণত প্রবাসে থাকা মানুষরা, বিশেষ করে যারা শ্রমিক, তারা তাদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে এই উপায়টা ব্যবহার করে থাকেন।
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় খুব তাড়াতাড়ি এবং খরচও কম। এই জন্যই অনেকে এটা ব্যবহার করে কিন্তু সমস্যা হলো, এই পদ্ধতিটা পুরোপুরি বেআইনি। এখানে কোনো কাগজপত্র বা রসিদ থাকে না, ফলে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে করে কর ফাঁকি দেওয়া সহজ হয় এবং অনেক সময় এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মাদক, অস্ত্র বা অন্য অপরাধমূলক কাজের টাকাও লেনদেন হয়।
অনেক দেশে হুন্ডি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন অনুযায়ী ধরা পড়লে জেল-জরিমানাও হতে পারে। তবুও মানুষ এই পদ্ধতিটা বেছে নেয় কারণ এটা সহজ, ঝামেলাহীন আর দ্রুত টাকা পৌঁছে যায় প্রিয়জনের কাছে। তবে মনে রাখতে হবে, অল্প লাভের আশায় বেআইনি পথে গেলে বড় ক্ষতিও হতে পারে। তাই সচেতন থাকাই ভালো।
আরও পড়ুনঃ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ও অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি ২০২৪।
ইউনিয়ন পরিষদ Birth Certificate বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড।
হুন্ডি কিভাবে কাজ করে
১. প্রেরক ও গ্রহণকারী
২. হুন্ডি এজেন্টের যোগাযোগ
৩. দ্রুত টাকা পৌঁছে যায়
৪. হিসাব রাখা
৫. সমন্বয় পদ্ধতি
৬. ঝুঁকি ও সমস্যা
হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর সুবিধা কি
টাকা পাঠানো খুব সহজ আর ঝামেলাহীন
হুন্ডির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে টাকা পাঠাতে অনেক বেশি সময় লাগে না। প্রেরক কাউকে টাকা পাঠাতে চাইলে শুধু হুন্ডি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে, হাতে টাকা দেয় আর যার কাছে টাকা যাবে, তার নাম ঠিকানা বলে দেয়। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওই টাকা পৌঁছে যায় প্রাপকের হাতে।খরচ কম, চার্জ প্রায় নেই বললেই চলে
যারা বিদেশে কাজ করেন বা দূরে কোথাও পরিবারে টাকা পাঠাতে চান, তাদের জন্য হুন্ডি অনেক কম খরচে উপকারে আসে। ব্যাঙ্কের মতো বাড়তি চার্জ বা সরকারি ফি দিতে হয় না তাই অনেকে এই পদ্ধতি পছন্দ করেন।ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও সমস্যা নেই
হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে বা তুলতে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লাগেও না। অনেক মানুষ এখনও ব্যাংকিং সেবার বাইরে, বিশেষ করে গ্রামের দিকে। তাদের জন্য এটা সহজ একটা পথ যেখানে কাগজপত্র ছাড়াই টাকা পাওয়া যায়।গোপনীয়তা বজায় থাকে
হুন্ডি লেনদেনে কোনো অফিসিয়াল রেকর্ড রাখা হয় না। কেউ চাইলে একেবারেই গোপনে টাকা লেনদেন করতে পারে। অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে এই গোপনীয়তাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো দেশে টাকা পাঠানো যায়
হুন্ডি ব্যবস্থায় দেশের সীমানা কোনো বাধা নয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানো একেবারে সহজ শুধু হুন্ডি এজেন্টদের নেটওয়ার্ক থাকলেই হয়। তাই যেখানেই থাকুন না কেন, পরিবারে টাকা পাঠাতে এই পদ্ধতি অনেকের কাছে ভরসার মতো।ছোট ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে
অনেক ছোট ব্যবসায়ী ব্যাংকের জটিল নিয়মে যেতে চান না। তাদের জন্য হুন্ডি একটা সহজ সমাধান। পণ্য কেনাবেচা, লেনদেন সব কিছুই এই অনানুষ্ঠানিক উপায়ে সহজ হয়ে যায়।যদিও হুন্ডির এইসব সুবিধা রয়েছে, তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে এটা অনেক দেশে বেআইনি। তাই সুবিধার পাশাপাশি এর ঝুঁকিও বুঝে নেওয়া খুব জরুরি।
হুন্ডি কি বৈধ
চলুন সহজ করে হুন্ডির বৈধতা নিয়ে একটু বুঝে নেওয়া যাক,
এটা অফিসিয়াল নয়
হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয় একদম ঘরোয়া বা ব্যক্তিগতভাবে। এখানে কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নিয়মকানুন মানা হয় না। আর এই কারণেই এটা বেশিরভাগ দেশের চোখে অবৈধ।কোন কাগজপত্র থাকে না
হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর বা পাওয়ার কোনো অফিসিয়াল রসিদ বা কাগজপত্র থাকে না ফলে কেউ যদি চায়, এই পথে বেআইনি কাজে অর্থ ব্যবহার করতে পারে যেমন সন্ত্রাসী কাজে অর্থ পাঠানো বা কালো টাকা সাদা করা তাই অনেক দেশ এই পদ্ধতিকে কড়া নজরে দেখে।কিছু দেশের আইনি ব্যবস্থা
উদাহরণস্বরূপ, ভারতে "ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (FEMA)" আর "প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)" এর মতো আইন আছে, যেখানে স্পষ্টভাবে হুন্ডি লেনদেন নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে জেল জরিমানাও হতে পারে।ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনই নিরাপদ
ব্যাংক ব্যবস্থায় টাকা পাঠালে প্রতিটা লেনদেনের প্রমাণ থাকে। ফলে টাকা কোথা থেকে এলো, কে নিল, কী উদ্দেশ্যে নিল সব কিছুই স্পষ্ট থাকে। এতে সরকারের পক্ষেও দেশের অর্থনীতির স্বচ্ছতা বজায় রাখা সহজ হয় কিন্তু হুন্ডি ব্যবস্থায় এসব কিছুই থাকে না, সব কিছু হয় গোপনে।যদিও হুন্ডি অনেক সময় সহজ ও সস্তা মনে হয়, কিন্তু এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেআইনি পথ। নিরাপদে ও আইন মেনে চলতে চাইলে সব সময় ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ আজ হুন্ডি ব্যবহার করে টাকা পাঠালেও, কাল হয়তো তার জন্য বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
যেভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়
প্রথম ধাপ – প্রেরক টাকা জমা দেন
কোড বা সিক্রেট নম্বর দেওয়া হয়
এজেন্টদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানো
প্রাপক কোড দেখিয়ে টাকা নেন
হুন্ডি কেন এখনো অনেকে ব্যবহার করে?
- ব্যাংকে অনেক ঝামেলা থাকে, কাগজপত্র লাগে, সময়ও বেশি লাগে। হুন্ডিতে এসব কিছুই লাগে না।
- খরচও কম পড়ে, অনেক সময় ব্যাংকের চার্জ থেকেও কম।
- গ্রামের মানুষ, যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, তারাও সহজে টাকা পাঠাতে বা তুলতে পারেন।
- কেউ কেউ গোপনভাবে আর্থিক লেনদেন করতে চান তাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
হুন্ডি টাকার রেট
হুন্ডি কিভাবে বন্ধ করা যায়
১. আইনের কড়াকড়ি প্রয়োগ করতে হবে
২. মানুষকে সচেতন করা দরকার
৩. বৈধ চ্যানেল সহজ ও সস্তা করতে হবে
৪. প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার করতে হবে
৫. বিদেশি দেশের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে
৬. আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (FIU) আরও সক্রিয় হতে হবে
৭. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক থাকতে হবে
৮. ভালো কাজে উৎসাহ দিতে হবে
হুন্ডি ব্যবসা কি হালাল
- প্রথমত, হুন্ডি ব্যবস্থায় অর্থ স্থানান্তর সম্পূর্ণ অপ্রকাশ্য এবং নিয়ন্ত্রণহীন। এটি অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার হতে পারে যা ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
- দ্বিতীয়ত, হুন্ডি ব্যবস্থায় প্রায়ই সুদের উপাদান থাকতে পারে যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। কিছু ক্ষেত্রে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা ঋণ প্রদান করে এবং ঋণ গ্রহীতা থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয় যা সুদের অন্তর্ভুক্ত।
- তৃতীয়ত, হুন্ডি ব্যবস্থায় অর্থ স্থানান্তরের কোনো লিখিত দলিল থাকে না যা ইসলামের ন্যায়বিচারের নীতির সাথে খাপ খায় না। অর্থ লেনদেনের সব ধরনের রেকর্ড রাখা উচিত যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করা যায়।
হুন্ডির শাস্তি কি
বাংলাদেশে হুন্ডির জন্য কী ধরনের শাস্তি হতে পারে?
- জরিমানা দিতে হয়: যদি কারও বিরুদ্ধে হুন্ডির অভিযোগ প্রমাণ হয়, তাহলে তাকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। কত টাকা জরিমানা হবে, সেটা নির্ভর করে সে কত টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করেছে তার উপর।
- জেল হতে পারে: শুধু জরিমানাই নয়, হুন্ডির কারণে কেউ কেউ কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছর জেলও খাটতে পারে। যতো বড় অপরাধ, ততো বড় শাস্তি।
- সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হয়: যদি কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ হয় যে সে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ টাকা আয় করেছে, তাহলে তার সেই আয় বা সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
- অন্য আইনি ব্যবস্থা: অনেক সময় অপরাধীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়, পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, যাতে সে দেশের বাইরে যেতে না পারে। এসবও হুন্ডির শাস্তির অংশ।
কোন কোন আইন অনুযায়ী শাস্তি হয়?
- মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এই আইনে বলা আছে, কেউ যদি অবৈধভাবে টাকা লেনদেন করে যেমন হুন্ডির মাধ্যমে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
- ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭- বিদেশি মুদ্রা নিয়ে কোনো অবৈধ কাজ করলে এই আইনেও শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
হুন্ডি রোধে কারা কাজ করে?
- বাংলাদেশ ব্যাংক – দেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- অর্থ মন্ত্রণালয় – অর্থ পাচার বন্ধে নিয়ম-কানুন তৈরি করে।
- র্যাব ও পুলিশ – যারা সরাসরি অভিযান চালিয়ে হুন্ডি চক্রকে ধরার কাজ করে।
হুন্ডি ব্যবসার সতর্কতা
আইনের চোখে বড় অপরাধ
- অপরাধ হিসেবে গণ্য: হুন্ডি বাংলাদেশসহ অনেক দেশে নিষিদ্ধ। কেউ হুন্ডির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে জেল, জরিমানা বা উভয় শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
- মুদ্রা পাচারের অভিযোগ: হুন্ডি মানেই টাকা অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাঠানো বা আনা। এই কারণে মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
টাকা হারানোর ভয় সবসময়
- প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা: হুন্ডি একটা অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতি। এখানে বিশ্বাসই সব। তাই কোনো নিশ্চয়তা নেই যে টাকা পৌঁছাবেই। মাঝপথে উধাওও হয়ে যেতে পারে।
- বীমা বা সুরক্ষা নেই: ব্যাংকের মতো এখানে কোনো গ্যারান্টি বা নিরাপত্তা নেই। কোনো সমস্যা হলে কেউ ক্ষতিপূরণ দেবে না।
ভয় আর আতঙ্কের লেনদেন
- চুরি বা দস্যুতার ভয়: হুন্ডির লেনদেন সাধারণত গোপনে, নগদে হয়। এতে ছিনতাই, ডাকাতির ভয় সবসময় থাকে।
- ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকি: অনেক সময় বড় অঙ্কের টাকা হাতে থাকলে জীবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে।
স্বচ্ছতার অভাব – কোনো প্রমাণই থাকে না
- লেখাপড়াহীন লেনদেন: হুন্ডির কোনো রশিদ বা লিখিত প্রমাণ থাকে না। পরে দরকার পড়লে আপনি প্রমাণও দিতে পারবেন না।
- টাকা কোথা থেকে এলো, গেল তা জানা যায় না: হুন্ডির টাকা কোথা থেকে আসলো, কার কাছে গেল এসব কিছু ট্র্যাক করা যায় না।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি
- দেশের অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব: হুন্ডির টাকা কখনো ব্যাংক দিয়ে যায় না, তাই দেশের বৈধ আর্থিক ব্যবস্থাও দুর্বল হয়।
- সরকার রাজস্ব পায় না: ব্যাংক দিয়ে টাকা আসলে সরকার কর পায়। হুন্ডির মাধ্যমে আসলে কোনো রাজস্ব আসে না, যা দেশের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও ঝুঁকি
- বিদেশে খারাপ ভাবমূর্তি: হুন্ডির কারণে দেশে অবৈধ অর্থপ্রবাহ বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা ব্ল্যাকলিস্টে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
লেখকের মন্তব্য
হুন্ডি দিয়ে টাকা পাঠানো অনেক সময় সহজ আর দ্রুত মনে হতে পারে কিন্তু বিষয়টা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হুন্ডি অনেক দেশে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক সময় অপরাধমূলক কাজ যেমন মানি লন্ডারিং বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়নের মতো গুরুতর অপরাধ ঘটে তাই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হুন্ডি লেনদেন বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়।
এতে যেমন নিজের নিরাপত্তা থাকে, তেমনি দেশের আইনও মানা হয়। আর নির্ভরযোগ্য চ্যানেল দিয়ে টাকা পাঠালে মনেও শান্তি থাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url