হুন্ডি কি এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে ২০২৪

বাংলাদেশি প্রবাসীরা যারা বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠান তারা ব্যাংক ছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠান। আজকের আলোচনায় হুন্ডি কি এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
হুন্ডি কি এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে ২০২৪

হুন্ডি কি এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে এছাড়াও এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং এর সতর্কতা সম্পর্কে জানতে দ্রুত মুল আলোচনায় চলে যান। 

ভূমিকা

হুন্ডি ব্যবসা সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় এটি একটি অবৈধ অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়া। এই ব্যবসায় বিদেশে যারা কাজ করেন তারা চ্যানেলের বাইরে অর্থ পাঠায়। এই প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয় সাধারণত  মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় অর্থপাচার ও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। এমনকি এই ব্যবস্থায় লেনদেনের কোন রেকর্ড না থাকায় নিরাপত্তার জন্য এটি হুমকিস্বরূপ। দেশের অর্থনীতিতে এই ব্যবসা একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

হুন্ডি ব্যবসা কি

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে এটা জানার আগে জানতে হবে হুন্ডি ব্যবসা কি। হুন্ডি ব্যবসা মানে হলো এমন এক ধরনের অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি, যেখানে ব্যাংক বা কোনো অফিসিয়াল আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকে না। এই ব্যবস্থা মূলত দক্ষিণ এশিয়া আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশি দেখা যায়। সাধারণত প্রবাসে থাকা মানুষরা, বিশেষ করে যারা শ্রমিক, তারা তাদের পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে এই উপায়টা ব্যবহার করে থাকেন।

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় খুব তাড়াতাড়ি এবং খরচও কম। এই জন্যই অনেকে এটা ব্যবহার করে কিন্তু সমস্যা হলো, এই পদ্ধতিটা পুরোপুরি বেআইনি। এখানে কোনো কাগজপত্র বা রসিদ থাকে না, ফলে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে করে কর ফাঁকি দেওয়া সহজ হয় এবং অনেক সময় এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মাদক, অস্ত্র বা অন্য অপরাধমূলক কাজের টাকাও লেনদেন হয়।

অনেক দেশে হুন্ডি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন অনুযায়ী ধরা পড়লে জেল-জরিমানাও হতে পারে। তবুও মানুষ এই পদ্ধতিটা বেছে নেয় কারণ এটা সহজ, ঝামেলাহীন আর দ্রুত টাকা পৌঁছে যায় প্রিয়জনের কাছে। তবে মনে রাখতে হবে, অল্প লাভের আশায় বেআইনি পথে গেলে বড় ক্ষতিও হতে পারে। তাই সচেতন থাকাই ভালো।

আরও পড়ুনঃ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ও অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি ২০২৪।

ইউনিয়ন পরিষদ Birth Certificate বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড।

হুন্ডি কিভাবে কাজ করে

হুন্ডি হলো এক ধরনের টাকা পাঠানোর পদ্ধতি, যেটা ব্যাংকের নিয়ম কানুন ছাড়াই চলে। এটা কোনো অফিসিয়াল বা সরকার অনুমোদিত ব্যবস্থা না হলেও দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য বা যেসব দেশে অনেক অভিবাসী মানুষ কাজ করে  সেসব জায়গায় এটা অনেক প্রচলিত।

এই পদ্ধতির মূল বিষয়টা হলো  এক লোক আরেক লোকের মাধ্যমে টাকা পাঠায় তাও আবার খুব দ্রুত, কম খরচে আর ঝামেলাহীনভাবে।

চলুন সহজভাবে হুন্ডি কীভাবে কাজ করে সেটা একটু বুঝে নেই: 

১. প্রেরক ও গ্রহণকারী

যিনি বিদেশে আছেন, তিনি যদি দেশে টাকা পাঠাতে চান তাহলে তিনি এক হুন্ডি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং সেই এজেন্টকে টাকা দিয়ে দেন আর বলেন  এই টাকা অমুক ঠিকানায়, অমুক লোককে দিতে হবে। 

২. হুন্ডি এজেন্টের যোগাযোগ

যে এজেন্ট বিদেশে টাকা নিচ্ছেন তার দেশেও একজন পরিচিত হুন্ডি এজেন্ট থাকতে হবে এবং এই দুই এজেন্ট একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। 

৩. দ্রুত টাকা পৌঁছে যায়

বিদেশের এজেন্ট টাকা নেওয়ার পর, বাংলাদেশের এজেন্ট প্রাপকের কাছে টাকা দিয়ে দেয়। প্রাপক টাকা হাতে পায় স্থানীয় মুদ্রায়, কোনো ব্যাংকে না গিয়েই।

৪. হিসাব রাখা

যদিও টাকা হাতে হাতে চলে, তবুও এজেন্টরা নিজেদের মধ্যে এক ধরণের হিসাব রাখে। তারা পরে আবার নিজেদের লেনদেন মেলায়, যাতে কারও পাওনা থেকে না যায়।

৫. সমন্বয় পদ্ধতি

সব হুন্ডি এজেন্ট একে অপরের সঙ্গে কাজ করে টাকা মেলাতে। কেউ পণ্য দিয়ে, কেউ সেবা দিয়ে, আবার কেউ অন্যভাবে এই লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।

৬. ঝুঁকি ও সমস্যা

হুন্ডির একটা বড় সুবিধা হলো এটা খুব সহজ, দ্রুত আর খরচ কম কিন্তু এতে অনেক বড় ঝুঁকিও আছে। কারণ এটা গোপনে চলে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এই সুযোগে অনেকে বেআইনি কাজে, যেমন অর্থ পাচার বা অপরাধমূলক কাজে এই পথটা ব্যবহার করে।

তাই হুন্ডি ব্যবস্থাটা যতই সহজ হোক, এটা বেআইনি এবং বিপজ্জনক। আইনের বাইরে থাকায় এতে ধরা পড়লে বড় শাস্তিও হতে পারে। নিরাপদে ও বৈধভাবে টাকা পাঠাতে হলে সবসময় ব্যাংক বা বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করাই ভালো।

হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর সুবিধা কি

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে তা আমরা জানলাম এখন আমরা জানব হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর সুবিধা কি। 

টাকা পাঠানো খুব সহজ আর ঝামেলাহীন

হুন্ডির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো  এতে টাকা পাঠাতে অনেক বেশি সময় লাগে না। প্রেরক কাউকে টাকা পাঠাতে চাইলে শুধু হুন্ডি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে, হাতে টাকা দেয় আর যার কাছে টাকা যাবে, তার নাম ঠিকানা বলে দেয়। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওই টাকা পৌঁছে যায় প্রাপকের হাতে।

খরচ কম, চার্জ প্রায় নেই বললেই চলে

যারা বিদেশে কাজ করেন বা দূরে কোথাও পরিবারে টাকা পাঠাতে চান, তাদের জন্য হুন্ডি অনেক কম খরচে উপকারে আসে। ব্যাঙ্কের মতো বাড়তি চার্জ বা সরকারি ফি দিতে হয় না তাই অনেকে এই পদ্ধতি পছন্দ করেন।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও সমস্যা নেই

হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে বা তুলতে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লাগেও না। অনেক মানুষ এখনও ব্যাংকিং সেবার বাইরে, বিশেষ করে গ্রামের দিকে। তাদের জন্য এটা সহজ একটা পথ  যেখানে কাগজপত্র ছাড়াই টাকা পাওয়া যায়।

গোপনীয়তা বজায় থাকে

হুন্ডি লেনদেনে কোনো অফিসিয়াল রেকর্ড রাখা হয় না। কেউ চাইলে একেবারেই গোপনে টাকা লেনদেন করতে পারে। অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে এই গোপনীয়তাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো দেশে টাকা পাঠানো যায়

হুন্ডি ব্যবস্থায় দেশের সীমানা কোনো বাধা নয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানো একেবারে সহজ শুধু হুন্ডি এজেন্টদের নেটওয়ার্ক থাকলেই হয়। তাই যেখানেই থাকুন না কেন, পরিবারে টাকা পাঠাতে এই পদ্ধতি অনেকের কাছে ভরসার মতো।

ছোট ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে

অনেক ছোট ব্যবসায়ী ব্যাংকের জটিল নিয়মে যেতে চান না। তাদের জন্য হুন্ডি একটা সহজ সমাধান। পণ্য কেনাবেচা, লেনদেন  সব কিছুই এই অনানুষ্ঠানিক উপায়ে সহজ হয়ে যায়।

যদিও হুন্ডির এইসব সুবিধা রয়েছে, তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে এটা অনেক দেশে বেআইনি। তাই সুবিধার পাশাপাশি এর ঝুঁকিও বুঝে নেওয়া খুব জরুরি।

হুন্ডি কি বৈধ

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে তা আমরা জানলাম এখন আমরা জানব হুন্ডি কি বৈধ। হুন্ডি এক ধরনের অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি, যেটা অনেক দেশেই প্রচলিত হলেও বেশিরভাগ দেশেই এটা বেআইনি। 

বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, যেখানে বিদেশে কাজ করা মানুষজন দ্রুত ও সহজ উপায়ে টাকা বাড়িতে পাঠাতে চান, সেখানে হুন্ডির ব্যবহার বেশি দেখা যায়। তবে এই ব্যবস্থার কিছু গুরুতর সমস্যা আছে, যেগুলোর জন্য এটাকে অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চলুন সহজ করে হুন্ডির বৈধতা নিয়ে একটু বুঝে নেওয়া যাক, 

এটা অফিসিয়াল নয়

হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয় একদম ঘরোয়া বা ব্যক্তিগতভাবে। এখানে কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নিয়মকানুন মানা হয় না। আর এই কারণেই এটা বেশিরভাগ দেশের চোখে অবৈধ।

কোন কাগজপত্র থাকে না

হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর বা পাওয়ার কোনো অফিসিয়াল রসিদ বা কাগজপত্র থাকে না ফলে কেউ যদি চায়, এই পথে বেআইনি কাজে অর্থ ব্যবহার করতে পারে যেমন সন্ত্রাসী কাজে অর্থ পাঠানো বা কালো টাকা সাদা করা তাই অনেক দেশ এই পদ্ধতিকে কড়া নজরে দেখে।

কিছু দেশের আইনি ব্যবস্থা

উদাহরণস্বরূপ, ভারতে "ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (FEMA)" আর "প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)" এর মতো আইন আছে, যেখানে স্পষ্টভাবে হুন্ডি লেনদেন নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে জেল জরিমানাও হতে পারে।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনই নিরাপদ

ব্যাংক ব্যবস্থায় টাকা পাঠালে প্রতিটা লেনদেনের প্রমাণ থাকে। ফলে টাকা কোথা থেকে এলো, কে নিল, কী উদ্দেশ্যে নিল সব কিছুই স্পষ্ট থাকে। এতে সরকারের পক্ষেও দেশের অর্থনীতির স্বচ্ছতা বজায় রাখা সহজ হয়  কিন্তু হুন্ডি ব্যবস্থায় এসব কিছুই থাকে না, সব কিছু হয় গোপনে।

যদিও হুন্ডি অনেক সময় সহজ ও সস্তা মনে হয়, কিন্তু এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেআইনি পথ। নিরাপদে ও আইন মেনে চলতে চাইলে সব সময় ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ আজ হুন্ডি ব্যবহার করে টাকা পাঠালেও, কাল হয়তো তার জন্য বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

যেভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় 

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে তা আমরা জানলাম এখন আমরা জানব যেভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। হুন্ডি হলো এক ধরনের বেসরকারি বা অপ্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা, যেটা বিশেষ করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিটা অনেক পুরনো এবং এখনও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক মানুষ এটি ব্যবহার করে থাকেন।

চলুন ধাপে ধাপে দেখি কীভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়:

 প্রথম ধাপ – প্রেরক টাকা জমা দেন

যে ব্যক্তি টাকা পাঠাতে চান (যাকে বলা হয় প্রেরক), তিনি প্রথমে একটি হুন্ডি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রেরক সাধারণত নগদ টাকা দেন সেই এজেন্টকে। টাকা দেওয়ার সময় প্রেরকের কাছ থেকে প্রাপকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এসব সাধারণ তথ্য নেওয়া হয়।

কোড বা সিক্রেট নম্বর দেওয়া হয়

টাকা জমা দেওয়ার পর হুন্ডি এজেন্ট প্রেরককে একটি গোপন কোড বা নম্বর দেন। এই কোডটি অনেকটা রশিদের মতো যার মাধ্যমে প্রাপক তার টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রেরক এরপর সেই কোডটি ফোনে বা মেসেজে প্রাপকের কাছে পাঠান।

এজেন্টদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানো

এইবার শুরু হয় হুন্ডির আসল কাজ। যে এজেন্ট টাকা নিয়েছেন, তিনি তার দেশের হুন্ডি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রাপকের দেশের আরেকজন এজেন্টকে বলেন, যেন সে ওই নির্দিষ্ট লোককে (যে কোড জানে) টাকা দিয়ে দেয়। এজেন্টদের মধ্যে একটি আস্থা ও যোগাযোগের সম্পর্ক থাকে যার ওপর ভিত্তি করে পুরো প্রক্রিয়াটি চলে।

প্রাপক কোড দেখিয়ে টাকা নেন

যখন টাকা প্রাপকের দেশে পৌঁছায়, তখন প্রাপক সেই নির্দিষ্ট এজেন্টের কাছে যান এবং প্রেরকের দেওয়া কোডটি দেখান। এজেন্ট যাচাই-বাছাই করে তারপর তাকে টাকা দিয়ে দেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, পুরো প্রক্রিয়াটি এক-দুই দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।

হুন্ডি কেন এখনো অনেকে ব্যবহার করে?

  • ব্যাংকে অনেক ঝামেলা থাকে, কাগজপত্র লাগে, সময়ও বেশি লাগে। হুন্ডিতে এসব কিছুই লাগে না।
  • খরচও কম পড়ে, অনেক সময় ব্যাংকের চার্জ থেকেও কম।
  • গ্রামের মানুষ, যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, তারাও সহজে টাকা পাঠাতে বা তুলতে পারেন।
  • কেউ কেউ গোপনভাবে আর্থিক লেনদেন করতে চান তাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
হুন্ডি ব্যবস্থাটি যতই সহজ হোক, এটা অনেক দেশে বেআইনি কারণ এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো বা তোলা হলেও কোনো রকম আইনি কাগজপত্র তৈরি হয় না, ফলে এটি মানি লন্ডারিং বা অবৈধ কাজে ব্যবহারের ঝুঁকি তৈরি করে তাই এই পদ্ধতি ব্যবহারের সময় সতর্ক হওয়া জরুরি।

সংক্ষেপে বললে:

প্রেরক একজন হুন্ডি এজেন্টকে টাকা দেন → একটি কোড পান → সেই কোড প্রাপককে দেন → এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা স্থানান্তর হয় → প্রাপক কোড দেখিয়ে টাকা গ্রহণ করেন।

হুন্ডি টাকার রেট

সৌদি (রিয়েল)

বাংলাদেশি রেট (টাকা)

২৮.৬১

১,৪৩.০৫

১০

২৮৬.১

৫০

১,৪৩০.৫

১০০

২৮,৬১

৫০০

১৪,৩০৫

১০০০

২৮,৬১০

৫০০০

১,৪৩.০৫০

১০,০০০

২,৮৬,১০০  

৫০,০০০

১৪,৩০,৫০০

হুন্ডি কিভাবে বন্ধ করা যায়

হুন্ডি বলতে বোঝায় এক ধরনের অবৈধভাবে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি যা সরকার বা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে অনেকে হুন্ডির পথ বেছে নেন কারণ এটি দ্রুত ও সহজ। কিন্তু এর পেছনে আছে বড় ক্ষতি দেশের অর্থনীতির জন্য বিপদ, সরকার কর পায় না আর এই টাকার মাধ্যমে খারাপ কাজও হতে পারে।

তাই হুন্ডি বন্ধ করা খুবই দরকার। কীভাবে করা যায়? আসুন একে একে দেখি।

১. আইনের কড়াকড়ি প্রয়োগ করতে হবে

হুন্ডির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। পুলিশ, র‍্যাব বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা এসব অপরাধ ধরতে পারে।

২. মানুষকে সচেতন করা দরকার

অনেকে না বুঝেই হুন্ডির মতো পদ্ধতিতে টাকা পাঠান। তাদের জানাতে হবে—এটা অবৈধ, আর এতে দেশের ক্ষতি হয়। টিভি, ফেসবুক, ইউটিউব বা পত্রিকার মাধ্যমে বোঝাতে হবে কেন বৈধ পথে টাকা পাঠানো দরকার।

৩. বৈধ চ্যানেল সহজ ও সস্তা করতে হবে

অনেকে হুন্ডির পথ বেছে নেন কারণ তারা ভাবে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে খরচ বেশি, ঝামেলা বেশি। তাই ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং বা রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা আরও সহজ, কম খরচের ও সময় সাশ্রয়ী করতে হবে।

৪. প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার করতে হবে

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈধ টাকা পাঠানোর সিস্টেমকে আরও নিরাপদ ও সহজ করে তুলতে হবে। এতে মানুষ হুন্ডির মতো ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি থেকে সরে আসবে।

৫. বিদেশি দেশের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে

হুন্ডির টাকা সাধারণত দেশের বাইরে থেকেই আসে। তাই অন্য দেশের সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করলে হুন্ডি চক্রকে ধরতে সহজ হবে।

৬. আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (FIU) আরও সক্রিয় হতে হবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের FIU বা অর্থ গোয়েন্দারা যাতে সন্দেহজনক লেনদেন তাড়াতাড়ি ধরতে পারে, সে জন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সাহায্য দিতে হবে।

৭. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক থাকতে হবে

যে কেউ যেন নিজের পরিচয় না দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে, সেদিকে ব্যাংককে কড়া নজর দিতে হবে। কারা টাকা পাঠাচ্ছে বা নিচ্ছে, তা মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে।

৮. ভালো কাজে উৎসাহ দিতে হবে

যারা বৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছে, তাদের জন্য কিছু সুবিধা রাখতে হবে যেমন, কম সার্ভিস চার্জ, দ্রুত টাকা পৌঁছানো, এমনকি ট্যাক্স রেয়াতের মতো সুযোগ। এতে মানুষ হুন্ডি বাদ দিয়ে বৈধ পথ বেছে নেবে।

হুন্ডি বন্ধ করতে শুধু আইন করলেই হবে না, মানুষকে বোঝাতে হবে, সহজ ব্যবস্থা দিতে হবে আর দেশের ভেতর-বাইরের সব সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে। সরকার যদি সত্যিই চাই, আর আমরা সবাই সচেতন হই, তাহলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে।

হুন্ডি ব্যবসা কি হালাল

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে তা আমরা জানলাম এখন আমরা জানব হুন্ডি ব্যবসা কি হালাল। হুন্ডি হলো একটি অপ্রচলিত এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা যা প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হয়। 

এটি একটি পুরাতন পদ্ধতি যার মাধ্যমে ব্যক্তিরা দেশে এবং বিদেশে অর্থ পাঠায়, যা মূলত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে পরিচালিত হয়। হুন্ডি ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর দ্রুততা এবং সস্তা ফি যা অনেকের কাছে এটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে। 

ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে, হুন্ডি ব্যবসার বৈধতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইসলামে অর্থ স্থানান্তরের মূলনীতি হলো তা হালাল উপায়ে হতে হবে এবং কোনো ধরনের সুদ বা রিবা জড়িত থাকতে পারবে না। হুন্ডি ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে এটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
  • প্রথমত, হুন্ডি ব্যবস্থায় অর্থ স্থানান্তর সম্পূর্ণ অপ্রকাশ্য এবং নিয়ন্ত্রণহীন। এটি অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার হতে পারে যা ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
  • দ্বিতীয়ত, হুন্ডি ব্যবস্থায় প্রায়ই সুদের উপাদান থাকতে পারে যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। কিছু ক্ষেত্রে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা ঋণ প্রদান করে এবং ঋণ গ্রহীতা থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয় যা সুদের অন্তর্ভুক্ত।
  • তৃতীয়ত, হুন্ডি ব্যবস্থায় অর্থ স্থানান্তরের কোনো লিখিত দলিল থাকে না যা ইসলামের ন্যায়বিচারের নীতির সাথে খাপ খায় না। অর্থ লেনদেনের সব ধরনের রেকর্ড রাখা উচিত যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করা যায়।
এসব কারণ বিবেচনা করে, অনেক ইসলামিক পণ্ডিতরা হুন্ডি ব্যবসাকে হারাম বলে গণ্য করেন। তবে, কিছু পণ্ডিত মনে করেন যে, যদি হুন্ডি ব্যবস্থায় কোনো ধরনের হারাম উপাদান না থাকে এবং তা সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়, তবে তা হালাল হতে পারে।

সর্বোপরি, হুন্ডি ব্যবসা ইসলামী শরীয়ার নীতি এবং আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। অন্যথায়, এটি ইসলামী অর্থনীতির মূলনীতির পরিপন্থী হতে পারে। মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো যে তারা অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শরীয়ার নিয়ম কানুন মেনে চলে এবং কোনো ধরনের হারাম কাজ থেকে বিরত থাকে।

হুন্ডির শাস্তি কি

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে তা আমরা জানলাম এখন আমরা জানব হুন্ডির শাস্তি কি। আমরা জানি হুন্ডি কীভাবে কাজ করে। এটা একধরনের অবৈধভাবে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। এবার আসি এর শাস্তির বিষয়ে। হুন্ডি কোনো নিরীহ ব্যাপার না, এটা আইনভঙ্গের একটি গুরুতর অপরাধ। বাংলাদেশে যদি কেউ হুন্ডির মতো কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা আছে।

বাংলাদেশে হুন্ডির জন্য কী ধরনের শাস্তি হতে পারে?

  • জরিমানা দিতে হয়: যদি কারও বিরুদ্ধে হুন্ডির অভিযোগ প্রমাণ হয়, তাহলে তাকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। কত টাকা জরিমানা হবে, সেটা নির্ভর করে সে কত টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করেছে তার উপর।
  • জেল হতে পারে: শুধু জরিমানাই নয়, হুন্ডির কারণে কেউ কেউ কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছর জেলও খাটতে পারে। যতো বড় অপরাধ, ততো বড় শাস্তি।
  • সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হয়: যদি কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ হয় যে সে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ টাকা আয় করেছে, তাহলে তার সেই আয় বা সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
  • অন্য আইনি ব্যবস্থা: অনেক সময় অপরাধীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়, পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, যাতে সে দেশের বাইরে যেতে না পারে। এসবও হুন্ডির শাস্তির অংশ।

কোন কোন আইন অনুযায়ী শাস্তি হয়?

বাংলাদেশে হুন্ডি দমনে দুটি প্রধান আইন আছে, 
  • মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এই আইনে বলা আছে, কেউ যদি অবৈধভাবে টাকা লেনদেন করে যেমন হুন্ডির মাধ্যমে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
  • ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭- বিদেশি মুদ্রা নিয়ে কোনো অবৈধ কাজ করলে এই আইনেও শাস্তির ব্যবস্থা আছে। 

হুন্ডি রোধে কারা কাজ করে?

বাংলাদেশে বেশ কিছু সংস্থা হুন্ডির মতো অপরাধ ঠেকাতে কাজ করে। যেমন:
  • বাংলাদেশ ব্যাংক – দেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • অর্থ মন্ত্রণালয় – অর্থ পাচার বন্ধে নিয়ম-কানুন তৈরি করে।
  • র‍্যাব ও পুলিশ – যারা সরাসরি অভিযান চালিয়ে হুন্ডি চক্রকে ধরার কাজ করে।

হুন্ডি ব্যবসার সতর্কতা

হুন্ডি একটা অবৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। অনেকেই ভাবেন এটা সহজ আর ঝামেলাহীন। কিন্তু আসলে এর পেছনে আছে অনেক বড় ঝুঁকি আর ভয়াবহতা যা শুধু ব্যক্তি নয়, দেশের জন্যও ক্ষতিকর। নিচে সহজভাবে এসব ঝুঁকি আর সতর্কতার বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।

আইনের চোখে বড় অপরাধ

  • অপরাধ হিসেবে গণ্য: হুন্ডি বাংলাদেশসহ অনেক দেশে নিষিদ্ধ। কেউ হুন্ডির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে জেল, জরিমানা বা উভয় শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
  • মুদ্রা পাচারের অভিযোগ: হুন্ডি মানেই টাকা অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাঠানো বা আনা। এই কারণে মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

টাকা হারানোর ভয় সবসময়

  • প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা: হুন্ডি একটা অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতি। এখানে বিশ্বাসই সব। তাই কোনো নিশ্চয়তা নেই যে টাকা পৌঁছাবেই। মাঝপথে উধাওও হয়ে যেতে পারে।
  • বীমা বা সুরক্ষা নেই: ব্যাংকের মতো এখানে কোনো গ্যারান্টি বা নিরাপত্তা নেই। কোনো সমস্যা হলে কেউ ক্ষতিপূরণ দেবে না।

ভয় আর আতঙ্কের লেনদেন

  • চুরি বা দস্যুতার ভয়: হুন্ডির লেনদেন সাধারণত গোপনে, নগদে হয়। এতে ছিনতাই, ডাকাতির ভয় সবসময় থাকে।
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকি: অনেক সময় বড় অঙ্কের টাকা হাতে থাকলে জীবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে।

স্বচ্ছতার অভাব – কোনো প্রমাণই থাকে না

  • লেখাপড়াহীন লেনদেন: হুন্ডির কোনো রশিদ বা লিখিত প্রমাণ থাকে না। পরে দরকার পড়লে আপনি প্রমাণও দিতে পারবেন না।
  • টাকা কোথা থেকে এলো, গেল তা জানা যায় না: হুন্ডির টাকা কোথা থেকে আসলো, কার কাছে গেল এসব কিছু ট্র্যাক করা যায় না। 

সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি

  • দেশের অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব: হুন্ডির টাকা কখনো ব্যাংক দিয়ে যায় না, তাই দেশের বৈধ আর্থিক ব্যবস্থাও দুর্বল হয়।
  • সরকার রাজস্ব পায় না: ব্যাংক দিয়ে টাকা আসলে সরকার কর পায়। হুন্ডির মাধ্যমে আসলে কোনো রাজস্ব আসে না, যা দেশের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও ঝুঁকি

  • বিদেশে খারাপ ভাবমূর্তি: হুন্ডির কারণে দেশে অবৈধ অর্থপ্রবাহ বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা ব্ল্যাকলিস্টে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
হুন্ডি যতই সহজ আর দ্রুত মনে হোক, এর পেছনে আছে ভয়ংকর ঝুঁকি। টাকা হারানো, জেল খাটা, নিরাপত্তা ঝুঁকি সব কিছু একসঙ্গে। তাই হুন্ডির মতো অবৈধ পথে না গিয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। নিজের সুরক্ষা আর দেশের কল্যাণ দুটোই তখন নিশ্চিত হয়।

লেখকের মন্তব্য

হুন্ডি দিয়ে টাকা পাঠানো অনেক সময় সহজ আর দ্রুত মনে হতে পারে কিন্তু বিষয়টা যতটা সহজ মনে হয়, আসলে ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হুন্ডি অনেক দেশে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক সময় অপরাধমূলক কাজ যেমন মানি লন্ডারিং বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়নের মতো গুরুতর অপরাধ ঘটে তাই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হুন্ডি লেনদেন বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়। 

এতে যেমন নিজের নিরাপত্তা থাকে, তেমনি দেশের আইনও মানা হয়। আর নির্ভরযোগ্য চ্যানেল দিয়ে টাকা পাঠালে মনেও শান্তি থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url