পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে বাংলাদেশের বাজারে
পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে বাংলাদেশের বাজারে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আজকে নিয়ে আসছি একটি বিশদ আলোচনা যেখানে আপনি পাই নেটওয়ার্ক সম্পর্কেও জানতে পারবেন তাই বিস্তারিত জানতে পড়ো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে বাংলাদেশের বাজারে এবং এটি বাংলাদেশের বাজারে কি প্রভাব ফেলবে তা জানতে মূল আলোচনায় চলে যান।
পাই নেটওয়ার্ক কি
পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে এবং কিভাবে বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব ফেলবে তা জানার আগে পাই নেটওয়ার্ক কি সেটা আগে জেনে নেই। পাই নেটওয়ার্ক একটি ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি যা ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল। এটি তৈরি করা হয়েছে যাতে সাধারণ ব্যবহারকারীরা সহজেই ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করতে পারেন।
আরও জানতে পারেনঃ
২০২৪ সালে বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম: সর্বশেষ আপডেট।
চীনে চালু করা হোল বিশ্বের প্রথম এআই হাসপাতাল।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে এয়ার কুলার এর দাম-মূল্য তালিকা।
এর জন্য একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীরা ফোনের মাধ্যমে মাইনিং করতে পারেন এবং এটি বিদ্যমান ব্লকচেইন প্রযুক্তির মতো প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায় সহজলভ্য। পাই নেটওয়ার্কের উদ্ভাবন হয়েছিল ২০১৯ সালে স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থীর মাধ্যমে যারা এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির ভিত্তিতে তৈরি করেন।
এই মুদ্রার নাম গণিতের বিখ্যাত সংখ্যা "পাই" থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে, বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনো বৈধতা পায়নি।
পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে বাংলাদেশের বাজারে
পাই নেটওয়ার্কের প্রধান বৈশিষ্ট্য
পাই নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে?
মাইনিং প্রক্রিয়া
রোল ভিত্তিক মাইনিং সিস্টেম
- Pioneer (পাইওনিয়ার): সাধারণ ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন অ্যাপটি চালিয়ে মাইনিং করেন।
- Contributor (অবদানকারী): নির্দিষ্ট সংখ্যা ব্যবহারকারীকে যোগ করার মাধ্যমে সিকিউরিটি সার্কেল গঠন করে নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
- Ambassador (অ্যাম্বাসেডর): নতুন ব্যবহারকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেন।
- Node (নোড): কম্পিউটার বা সার্ভারের মাধ্যমে ব্লকচেইন বজায় রাখার কাজে সহায়তা করেন।
সিকিউরিটি সার্কেল
ব্লকচেইন প্রযুক্তি
মেইননেট লঞ্চ এবং টোকেন লেনদেন
পাই নেটওয়ার্ক কি বাংলাদেশে বৈধ
বাংলাদেশে পাই নেটওয়ার্কের বৈধতা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা যায় কারণ এটি একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সচেতন নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি পাই নেটওয়ার্কের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, তবে সাধারণত দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন আইনত সীমাবদ্ধ।
অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে যে পাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে বৈধ কি না। বর্তমানে শুধু পাই নেটওয়ার্কই নয়, বিটকয়েন সহ অন্যান্য সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সিও বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী পুরোপুরি বৈধ নয়। বাংলাদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সিকে স্বীকৃতি বা বৈধতা দেয়নি, ফলে এগুলো অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনুমোদিত নয় বলে বিবেচিত হয়। তবে এটিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধও বলা হচ্ছে না বরং এটির আইনি অবস্থান এখনো অস্পষ্ট বা নিরপেক্ষ রয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য সরকার অনুমোদিত অর্থ বা মুদ্রা ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ কারণ এটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে এবং স্থানীয় আইনের আওতায় সাধারণত মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হয় না। ফলে বাংলাদেশে সরাসরি পাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কেনাকাটা বা অন্যান্য লেনদেন আইনত বৈধ নয় বলে ধরা হয়।
তবে পাই নেটওয়ার্কের মূল কার্যক্রম, অর্থাৎ মাইনিং এবং টোকেন সংগ্রহ করা, এখনো পর্যন্ত আইনি সীমাবদ্ধতার আওতায় পড়ে না। এখানে পাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা মূলত তাদের ফোনে অ্যাপ ইনস্টল করে প্রতিদিন মাইনিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাই টোকেন সংগ্রহ করেন যা বর্তমানে কোনো প্রকার লেনদেন বা বিনিয়োগের সাথে জড়িত নয়।
তবে পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে কারণ মেইননেট চালু হলে টোকেনগুলো বাজারে লেনদেনযোগ্য হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে এটি আইনসিদ্ধ কিনা তা নির্ভর করবে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনার উপর।
বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাপারে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে। তবে মেইননেট চালু না হওয়া পর্যন্ত, পাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার ও মাইনিং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সাধারণত কোনো আইনি জটিলতায় পড়ে না।
পাই নেটওয়ার্কের বৈধতার প্রশ্নটি এখনও অনেকটাই অস্পষ্ট। আইনগত দিক থেকে এটি সরাসরি অবৈধ বলা হয়নি, তবে বাজারে লেনদেন শুরু হলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহারের নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও নির্দিষ্ট নির্দেশনা পাওয়া গেলে তা অনুসরণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পাই নেটওয়ার্ক আপডেট
Pi Network (পাই নেটওয়ার্ক) হলো একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প যা মোবাইল ডিভাইসে খননযোগ্য একটি ডিজিটাল মুদ্রা তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এটি তৈরি করেছেন যাতে যে কেউ মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে বিনামূল্যে পাই কয়েন মাইনিং করতে পারেন।
Pi Network সম্প্রতি তার বহুল প্রতীক্ষিত ওপেন মেইননেট লঞ্চের তারিখ ঘোষণা করেছে যা প্রকল্পটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই লঞ্চটি Pi Network-এর ব্যবহারকারী অধিগ্রহণ পর্যায় থেকে ব্লকচেইন ইকোসিস্টেম বাস্তবায়নের দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রকল্পটি বর্তমানে তার প্রযুক্তিগত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে, ২৮ জুন নির্ধারিত লঞ্চের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রকল্পের প্রস্তুতি এবং পাই কয়েনের সম্ভাব্য বাজার চাহিদা নিয়ে কিছু প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। মেইননেট চালুর পূর্বে, Pi Network একটি ধাপে ধাপে লঞ্চ করার কৌশল গ্রহণ করেছে।
ওপেন মেইননেট প্রথমে একটি সীমিত ব্যবহারকারী গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে এবং এটির অ্যাক্সেস একটি বন্ধ মেইননেটের মাধ্যমে শুরু হবে।
Pi Network আপডেট এবং সাম্প্রতিক কার্যক্রম:
মেইননেট লঞ্চ
পাই নেটওয়ার্কের মেইননেট চালু হওয়ার ঘোষণাটি ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি প্রকৃত মুদ্রা বিনিময় এবং লেনদেনের সুযোগ করে দিচ্ছে। মেইননেট চালুর পরে, খনি করা কয়েনগুলো আসল সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীর সঙ্গে বিনিময় করা যাবে।
KYC প্রক্রিয়া
Pi Network সম্প্রতি তাদের KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়ায় উন্নতি এনেছে। ব্যবহারকারীদের পরিচয় সঠিকভাবে যাচাই করতে একটি নতুন এবং উন্নত সিস্টেম চালু করা হয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে প্রতিটি ব্যবহারকারী প্রকৃত এবং যথাযথ। এর মাধ্যমে প্রকল্পটি বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে।
এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম
Pi Network তাদের এপ্লিকেশন ইকোসিস্টেমের জন্য ডেভেলপারদের উৎসাহিত করছে। তারা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করার প্রচেষ্টা করছে যেখানে ডেভেলপাররা পাই মুদ্রা ব্যবহার করে বিভিন্ন ডি-অ্যাপ (decentralized app) তৈরি করতে পারেন যা ভবিষ্যতে এই মুদ্রার ব্যবহারের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করবে।
পাই লকআপ
পাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের জন্য একটি লকআপ ফিচার নিয়ে এসেছে। এতে ব্যবহারকারীরা তাদের কয়েন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লক করতে পারেন যার মাধ্যমে তারা উচ্চতর মাইনিং রেট উপভোগ করতে পারবেন। এটি একটি প্রণোদনামূলক প্রক্রিয়া যা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারকারীদের লাভবান করতে সহায়তা করবে।
মার্কেটপ্লেস বা ইকোসিস্টেম বিস্তৃতি
পাই নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের একটি অংশ হলো তাদের মার্কেটপ্লেস উন্নয়ন। তারা একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছে যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের পাই মুদ্রা ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা ক্রয় করতে পারেন।
পাই মাইনিং রেট হ্রাস
ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে Pi Network মাইনিং রেট কমাতে শুরু করেছে। এতে মুদ্রার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে এবং এর মাধ্যমে পাই কয়েনের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
পাই নেটওয়ার্ক দিয়ে মাইন করার প্রক্রিয়া
পাই নেটওয়ার্ক দিয়ে মাইনিং প্রক্রিয়াটি সহজ এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে তারা ফোনের মাধ্যমে Pi কয়েন মাইন করতে পারেন। এটি বিটকয়েনের মতো প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং-এর তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং ব্যাটারি বা প্রসেসিং পাওয়ারের অতিরিক্ত ব্যবহার করে না।
পাই নেটওয়ার্কে মাইনিং করার ধাপসমূহ
- অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল: Pi Network মাইনিং শুরু করতে প্রথমে Android বা iOS-এ Pi Network অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি: অ্যাপ ইনস্টল করার পর আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি মোবাইল নম্বর অথবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয়।
- রেফারেল কোড ব্যবহার: Pi Network একটি ইনভাইটেশন-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক তাই মাইনিং শুরু করতে রেফারেল কোড প্রয়োজন হয়। আপনি বন্ধু বা পরিচিত কারো রেফারেল কোড ব্যবহার করতে পারেন অথবা প্রয়োজনীয় কোড সংগ্রহ করতে পারেন।
- মাইনিং শুরু: প্রতিদিন মাইনিং চালু করতে অ্যাপের হোম স্ক্রিনে থাকা মাইনিং বাটন ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার সাথে সাথেই মাইনিং শুরু হয় এবং এটি ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে।
- মাইনিং রেট বৃদ্ধি: আপনার মাইনিং রেট বাড়ানোর জন্য আপনি নতুন ব্যবহারকারীদের রেফার করতে পারেন। প্রতিটি রেফারেলে আপনি কিছু অতিরিক্ত মাইনিং রেট পাবেন। এছাড়াও Pi Network-এর নিরাপত্তা বৃত্ত (Security Circle) পূরণ করেও মাইনিং রেট বাড়ানো যায় যেখানে আপনার বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের যোগ করতে হয়।
- ব্যাটারি ও ডেটা ব্যবহার: Pi Network-এর বিশেষ প্রযুক্তির কারণে এটি আপনার মোবাইল ডিভাইসের ব্যাটারি বা ইন্টারনেট ডেটা বেশি খরচ করে না। এটি মূলত ক্লাউড-ভিত্তিক মাইনিং যেখানে আপনার ফোন একটি ক্লাউড সার্ভারকে মাইনিং করার অনুমতি দেয়।
পাই কয়েন বা পাই নেটওয়ার্ক মাইনিং এর সুবিধাসমূহ
- সহজে মোবাইল দিয়ে মাইনিং: Pi Network মাইনিং-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যায়। প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং যেমন বিটকয়েন বা ইথেরিয়াম মাইনিং করতে শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও প্রসেসরের প্রয়োজন হয়। তবে পাই নেটওয়ার্কে মাইনিং করতে কোনো বিশেষ ডিভাইস বা অ্যাসিক মাইনারের প্রয়োজন নেই। কেবল একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই এটি করা যায় যা এটি অধিকাংশ মানুষের জন্য সহজলভ্য করে তুলেছে।
- খরচবিহীন মাইনিং: Pi Network মাইনিং-এর জন্য বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টো মাইনিং-এর তুলনায় খুব কম খরচ লাগে, কারণ এটি অতিরিক্ত ব্যাটারি বা প্রসেসরের ব্যবহার না করে এবং একবার অ্যাপ চালু করলে ২৪ ঘণ্টা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে।প্রতিদিন একবার মাত্র মাইনিং বাটন ক্লিক করলেই মাইনিং চালু থাকে। ফলে অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়াই এটি থেকে উপার্জন সম্ভব।
- সহজ ব্যবহার ও নিরাপত্তা: Pi Network-এর অ্যাপটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য এবং নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য মাইনিং শুরু করা সহজ করে যা জটিল প্রক্রিয়া ছাড়াই Pi কয়েন উপার্জনের সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া, KYC পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের যাচাই করে তাদের প্রকৃততা নিশ্চিত করা হয়। ফলে, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্মও বটে।
- অতিরিক্ত মাইনিং রেট: Pi Network-এ মাইনিং রেট বাড়ানোর কিছু পদ্ধতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি নতুন ব্যবহারকারীদের রেফার করেন বা আপনার নিরাপত্তা বৃত্ত (Security Circle) পূরণ করেন তাহলে মাইনিং রেট বৃদ্ধি পায়। নিরাপত্তা বৃত্তটি বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিচিতদের যোগ করার মাধ্যমে তৈরি করা হয় যা নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- ভবিষ্যতের লাভের সম্ভাবনা: Pi Network-এর মেইননেট চালু হলে, Pi কয়েন এক্সচেঞ্জে লেনদেনযোগ্য হবে এবং প্রকৃত অর্থে রূপান্তর করা সম্ভব হবে যা বাজারে বড় চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে। ব্যবহারকারীরা তাদের মাইন করা Pi কয়েন থেকে ভবিষ্যতে আর্থিক লাভের আশা করতে পারেন।
- বিনামূল্যে আয়ের সুযোগ: Pi Network-এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই; এটি মোবাইলে বিনামূল্যে ব্যবহার করে প্রতিদিন একবার মাইনিং চালু করে Pi কয়েন সংগ্রহ করা যায়। মেইননেট চালু হলে, যদি তা বিক্রয়যোগ্য হয়, ব্যবহারকারীরা লাভবান হতে পারেন।
- গ্লোবাল নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণের সুযোগ: Pi Network বর্তমানে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা একটি বৃহৎ কমিউনিটির অংশ হিসেবে একে অপরকে সাহায্য করে এবং মাইনিং এর মাধ্যমে Pi কয়েন অর্জন করেন।
ভবিষ্যতের বিটকয়েন পাই নেটওয়ার্ক
পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে বাংলাদেশের বাজারে এর থেকেও ভবিষ্যতের বিটকয়েন পাই নেটওয়ার্ক কেমন হবে সেটা জানা বেশি জরুরি। পাই নেটওয়ার্ক, স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত একটি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি যা সহজ মাইনিং প্রক্রিয়া এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে বিটকয়েনের মতো বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে এর ব্যবহারকারী সংখ্যা ৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির সাধারণ ধারণা হল, এটি একটি ডিজিটাল সম্পদ যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং কোনো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে না। পাই নেটওয়ার্কের বিশেষত্ব হলো এটি মাইনিংকে সহজ এবং সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করেছে।
পাই নেটওয়ার্ক জনপ্রিয়তা লাভ করছে কারণ এটি নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে মাইনিংয়ের সুযোগ দেয়। এই সহজলভ্যতা এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে পাই নেটওয়ার্ককে অনেকে ভবিষ্যতের বিটকয়েন বলে আখ্যায়িত করছেন।
বর্তমানে পাই নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারী সংখ্যা ৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং প্রতিদিনই নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে টুইটারে পাই নেটওয়ার্কের বিপুল ফলোয়ার রয়েছে যা ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।
পাই নেটওয়ার্কের সমর্থকরা আশা করছেন, মেইননেট চালু হওয়ার পর এটি এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে এবং তখন Pi কয়েন প্রকৃত অর্থে রূপান্তরযোগ্য হবে। বিটকয়েনের ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ২০০৯ সালে এর মূল্য শূন্য থেকে শুরু হয়েছিল এবং কয়েক বছর পরে এর মূল্য লক্ষাধিক ডলারে পৌঁছে যায়।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে, পাই নেটওয়ার্ক বাজারে আসার পর মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে একই ধরনের উত্থান ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, পাই কয়েন বাজারে চালু হলে সম্পূর্ণ কয়েন না বিক্রি করে কিছু কয়েন ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে যেহেতু পাই কয়েনের মূল্য ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পেতে পারে।
এক পাই এর ডলার রেট বা পাই নেটওয়ার্কের দাম
বর্তমানে Pi Network মেইননেট চালু না হওয়ায় Pi কয়েনের নির্দিষ্ট মূল্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তাই, এক Pi কয়েনের মূল্য এখনো মার্কেট এক্সচেঞ্জে ডলারের সঙ্গে রূপান্তরযোগ্য নয়। বর্তমানে পাই কয়েনের মূল্য শূন্য হলেও বিশেষজ্ঞরা লঞ্চের পর এর মূল্য ১০ থেকে ৩০ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন, তবে এটি নিশ্চিত নয়।
Pi Network মেইননেট চালু হলে, Pi কয়েন এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়ে বাজারের চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে এর মূল্য নির্ধারিত হবে। অনেক ব্যবহারকারী ও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিটকয়েনের মতো Pi কয়েনও ভবিষ্যতে বড় মূল্য পেতে পারে। তবে প্রকৃত মূল্য নির্ভর করবে তখনকার বাজার পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদার ওপর।
বিটকয়েনের মতোই, পাই নেটওয়ার্ক মাইনিংকারী ব্যবহারকারীরা এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী এবং এর সম্ভাবনায় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
লেখকের মন্তব্য
পাই নেটওয়ার্ক কবে চালু হবে বাংলাদেশের বাজারে এ বিষয়ে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেলাম। এখন আমাদের অপেক্ষার পালা। সময় অনুযায়ী এর বাজার চাহিদা বাড়বে। আজকের পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url