অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করে বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট-২০২৪

আপনি শুনলে অবাক হবেন এখন শুধু মোবাইলে এড (বিজ্ঞাপন) দেখেই টাকা আয় করা যায়। তাই যদি আপনি এভাবে আয় করতে চান, চিন্তার কিছু নেই। আজকের এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট লেখায় আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এড দেখে টাকা ইনকাম করে বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটা একদম সহজ ভাষায়।    
এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট-২০২৪

যারা মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন আর ফ্রি সময়টা একটু কাজে লাগাতে চান তাদের জন্য এএড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট আলোচনা সম্পর্কে দ্রুত জেনে নিন। 

অ্যাড/বিজ্ঞাপন দেখে কি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব? 

অনেকে ভাবেন, আসলেই কি শুধু বিজ্ঞাপন (এড) দেখে টাকা আয় করা যায়? হ্যাঁ, সত্যি বলা যায় এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়া একেবারে সম্ভব। এই ধরনের কাজকে সাধারণভাবে বলা হয় PTC job, যার পুরো মানে হলো “Paid To Click”। 

আপনি যখন কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপে বা ওয়েবসাইটে গিয়ে বিজ্ঞাপন দেখেন বা তাতে ক্লিক করেন, তখন সেখান থেকে আপনি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এই ধরণের অনেক অ্যাপ আর ওয়েবসাইট এখন ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, যেখানে আপনি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারবেন।

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে—এই পদ্ধতিতে আয় করার জন্য আগে ভালোভাবে বিষয়টা জানতে হবে। কোন অ্যাপ ঠিক, কোনটা ভুয়া, কিভাবে কাজ করলে সময় নষ্ট হবে না—এসব বোঝা খুব দরকার।

যদি আপনি ঠিকভাবে শিখে নেন, তাহলে ঘরে বসেই অল্প সময়ের মধ্যেই একটু একটু করে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।

অনলাইনে এখন অনেক PTC ওয়েবসাইট আছে, যেমন Neobux, ClixSense, Scarlet Clicks এগুলোতে আপনি অ্যাড দেখে আয় করতে পারেন। এমনকি অন্যদের রেফার করেও কিছু ইনকাম হয় মানে, আপনি কাউকে ওই সাইটে জয়েন করতে বললে এবং তারা কাজ করলে, আপনি কিছু কমিশন পাবেন। 

তবে একটা কথা মাথায় রাখা খুব দরকার এই কাজগুলো একদিনে বড় অংকের টাকা এনে দেবে, এমনটা ভাবা ঠিক না। সময় ও ধৈর্য দরকার। এটা একটা ধীর গতির আয়ের মাধ্যম, তাই এটাকে একমাত্র ইনকামের উৎস হিসেবে ধরবেন না বরং, ফ্রি সময়টাকে কাজে লাগিয়ে একটু একটু করে আয় করার একটা ভালো উপায় হতে পারে।

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট

এখনকার দিনে অনলাইনে এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়া আগের মতো আর কঠিন কিছু না। আগে যেখানে ঘাম ঝরিয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হতো এখন ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বসে থেকে একটু সময় দিলেই ইনকাম করা সম্ভব। শুধু মোবাইল আর ইন্টারনেট থাকলেই অনেক অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে ঘরে বসে আয় করা যায় বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকেই। 

এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয় যেমন ধরুন আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে চান, তাহলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু অ্যাড দেখার পর আপনাকে পেমেন্ট দেওয়া হয়। পেমেন্ট নেওয়াটাও খুব সহজ, বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই টাকা তুলে নিতে পারবেন। 

সবচেয়ে বড় কথা হলো এখন অনলাইন ইনকাম শুধু আয় করার একটা উপায় না, বরং এটা একটা স্মার্ট সলিউশন। এখানে শরীরের চাইতে মাথার কাজ বেশি দরকার হয়। কারচুপি বা ধোঁকাবাজি নিয়ে অনেকেই চিন্তা করেন, তবে যেসব বিশ্বস্ত সাইট আছে সেগুলো সাধারণত খুব নিরাপদ এবং পেমেন্টও ঠিকঠাক দেয়।

এছাড়া, শুধু অ্যাড দেখে নয়, আরও অনেক সহজ পদ্ধতিতে আয় করা যায়। যেমন কপিপেস্ট করে ইউটিউবে ভিডিও বানানো, সহজ কিছু ডিজিটাল কাজ করা ইত্যাদি। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে নিয়মিত কাজ করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে সঠিক নিয়মে চলতে হবে। তাহলেই অনলাইন ইনকামটা হবে সত্যি সত্যি লাভজনক।

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সমূহ

এই সময়ে অনেকেই এড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ব্যবহার করছেন, আর সত্যি কথা বলতে কী, এগুলো এখন খুবই জনপ্রিয়। বেশি কষ্ট না করেই আপনি বাড়িতে বসে মোবাইলে কিছু এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নিতে পারেন। সবচেয়ে ভালো দিক হলো ইনকাম করা টাকা আপনি খুব সহজেই বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। নিয়মটা একেবারে সহজ, তাই যারা নতুন অনলাইনে আয় করতে চান, তাদের জন্য এটা ভালো একটা শুরু হতে পারে। 


এই সময়টা ছাত্র-ছাত্রী কিংবা যারা এখনও চাকরি খুঁজছেন, তাদের জন্য অনলাইনে আয় করার দারুণ একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কিছু অ্যাপ আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে দিনে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

এই অ্যাপগুলোর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এগুলো বেশ ভরসাযোগ্য। পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা হয় না বললেই চলে। আপনি যতটুকু কাজ করবেন, সেই অনুযায়ী টাকাও পাবেন। আর টাকা তোলার ব্যবস্থা তো আরও সহজ বিকাশ কিংবা নগদে পেমেন্ট নিয়ে নিতে পারবেন একদম সরাসরি।

তাই আপনার স্মার্টফোনটাই হতে পারে আপনার ছোট একটা ইনকাম উৎস, যদি ঠিকভাবে সময়টা কাজে লাগাতে পারেন।

১. Swagbucks থেকে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ হল  Swagbuck।Swagbucks এমন একটা অ্যাপ বা ওয়েবসাইট, যেটা দিয়ে আপনি খুব সহজ কিছু কাজ করে আয় করতে পারেন যেমন বিজ্ঞাপন দেখা, ভিডিও দেখা বা ছোট ছোট জরিপে অংশ নেওয়া। এসব কাজ করে আপনি Swagbucks পয়েন্ট (মানে "SB") পাবেন, যেটা পরে আপনি নগদ টাকায় বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন।


সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, এই টাকাটা আপনি PayPal-এর মাধ্যমে তুলতে পারেন আর চাইলে সেটাও আবার বিকাশ বা নগদে এনে নেওয়া যায়। এক কথায়, ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে সময়টা একটু কাজে লাগালেই কিছু আয় করা সম্ভব। Swagbucks অনেকের কাছেই একটা নির্ভরযোগ্য আয় করার উপায় হয়ে উঠেছে।

এখানে কিভাবে কাজ করতে হয় 

  • বিজ্ঞাপন আর ভিডিও দেখে আয়: Swagbucks এ আপনি নানা ধরণের ভিডিও দেখতে পাবেন যেমন বিনোদন, ফ্যাশন, স্বাস্থ্য বা খেলাধুলা  যা দেখলেই কিছু SB (Swagbucks পয়েন্ট) জমা হবে।
  • সার্ভে পূরণ করে পয়েন্ট: শুধু ভিডিও নয়, এখানে আপনি নানা প্রশ্নের সহজ কিছু সার্ভে ফর্ম পূরণ করেও পয়েন্ট পেতে পারেন। সময় কম লাগবে আর ইনকামটা একটু বেশি হবে।
  • পয়েন্ট থেকে টাকা/গিফট কার্ড: যখন আপনার ৫০০ SB জমে যাবে, তখন আপনি চাইলে তা দিয়ে $৫ ডলারের PayPal ক্যাশ নিতে পারেন কিংবা আমাজনের গিফট কার্ড রিডিম করতে পারেন।

এখানে আয় কেমন হতে পারে?

স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে, প্রতিটি ভিডিও বা বিজ্ঞাপনের জন্য খুব বেশি টাকা পাওয়া যায় না যেমন ধরুন, ছোটখাটো ভিডিও দেখে আপনি ৫০ থেকে ৬০০ SB পর্যন্ত পেতে পারেন মানে প্রায় ৫০ পয়সা থেকে ৬ ডলার পর্যন্ত। যদি আপনি প্রতিদিন একটা ভিডিও দেখেন বা সার্ভে করেন, তাহলে মাসে গড়ে ৬ ডলারের মতো ইনকাম করা সম্ভব। হ্যাঁ, এটা কোনো বড় আয় নয় আর একে মূল ইনকামের উৎসও বলা যায় না। তবে ফাঁকা সময়টাকে কাজে লাগিয়ে যদি সামান্য কিছু আয় করতে চান, তাহলে এটা একদম ঠিকঠাক একটা উপায়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস 

নতুন যারা Swagbucks-এ অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তাদের জন্য সাইনআপ বোনাসের একটা সুযোগ থাকে। এটা শুরুতেই একটু বাড়তি আয়ের মতো কাজ করে। নিয়মিত যদি এই প্ল্যাটফর্মটা ব্যবহার করেন, তাহলে একটু একটু করে ভালো পরিমাণে পয়েন্ট জমে যেতে পারে।

এমন অ্যাপগুলো পার্টটাইম ইনকামের জন্য বেশ ভালো তবে এটা পুরোপুরি আয়ের ভরসা হিসেবে ধরা উচিত নয়। আপনি যদি আরও জানতে চান বা সরাসরি কাজ শুরু করতে চান, তাহলে Swagbucks-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একবার ঢুঁকে দেখতে পারেন।

২. মানিক্যাশ অ্যাপ (Money Cash App) থেকে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ হল  মানিক্যাশ অ্যাপ (Money Cash App)। বিজ্ঞাপন দেখে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার একটা জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে মানিক্যাশ (Money Cash) অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে খুব সহজেই কিছু ছোট কাজ করে ইনকাম করা যায়, আর উপার্জিত টাকা আপনি সরাসরি বিকাশ বা নগদে তুলতেও পারেন। নিচে আমরা জানবো, এই অ্যাপটি কীভাবে কাজ করে এবং এতে আয়ের সুযোগ কতটুকু।

কিভাবে “Money Cash App” কাজ করে?

প্রথমেই আপনাকে গুগল প্লে স্টোর বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে মানিক্যাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর অ্যাপটি খুলে নিজের নামে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন। প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার পর আপনাকে কিছু পয়েন্ট বা টোকেন দেওয়া হবে। 

শুধু বিজ্ঞাপনই না কখনো কখনো ছোট কিছু কাজও করতে হতে পারে, যেমন নতুন কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা বা ছোট একটি সার্ভে ফরম পূরণ করা। এইভাবে আপনি যত পয়েন্ট জমাবেন, তা নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে ক্যাশ বা নগদ টাকায় রূপান্তর করতে পারবেন। 

টাকা তোলার সময় PayPal, Payoneer, কিংবা আমাদের দেশের বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যবহার করা যায়। সব মিলিয়ে, এটি ঘরে বসে সহজ উপায়ে কিছু বাড়তি ইনকামের জন্য ভালো একটা সুযোগ হতে পারে।

এতে ইনকাম করা কি বাস্তবসম্মত?

সোজা কথা বলতে গেলে, বিজ্ঞাপন দেখে যে ইনকাম হয়, সেটা খুব একটা বেশি না। এটা দিয়ে বড় আয়ের আশা করা ঠিক না একটু খরচের টাকা উঠাতে পারলেই ভালো।

নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে ভাবা জরুরি

সব অ্যাপ কিন্তু ঠিকমতো পেমেন্ট দেয় না। অনেক সময় দেখা যায়, হুট করে বন্ধ হয়ে যায়, আর আপনি আপনার উপার্জিত পয়েন্ট বা টাকা কিছুই পান না। তাছাড়া কিছু অ্যাপ আবার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে বসে, যেটা পরে বিপদে ফেলতে পারে।

সময় অনেক লাগে, আয় কম হয়

দিনে অনেকগুলো বিজ্ঞাপন দেখতেও হয়, কখনো কিছু অ্যাপ ডাউনলোড বা ছোট কাজও করতে হয়। কিন্তু এত সময়ের পরেও ইনকাম খুব বেশি হয় না—এক কথায়, পরিশ্রমের তুলনায় আয়টা কম।

সতর্ক না থাকলে প্রতারণা হতে পারে

যেকোনো অ্যাপ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তার রিভিউ পড়ে নিন। যদি অ্যাপটি আপনার কাছে নতুন মনে হয়, তাহলে গুগল বা ইউটিউবে একটু খোঁজ নিয়ে নিন। আর কখনোই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন বিকাশ পিন বা ব্যাংকের তথ্য, অজানা অ্যাপে দিয়ে বসবেন না।

সবশেষে, মানিক্যাশ (Money Cash App) এর মতো অ্যাপে কাজ করে টাকা আয় করা সম্ভব, কিন্তু এটাকে কখনোই মূল ইনকামের উৎস ভাবা ঠিক না। আর সবার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, অ্যাপটা সত্যিই নিরাপদ কিনা। নিজের সতর্কতা থাকলে অনলাইন আয় সহজ ও নিরাপদ আর না থাকলে কিন্তু উল্টো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

৩. "CASH APPS" থেকে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ হল CASH APPS। “CASH APPS” নামের এই অ্যাপটা ডাউনলোড করার পর, ব্যবহারকারীদের একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় যার জন্য শুধু ইউজারনেম আর পাসওয়ার্ড দিলেই চলে। অ্যাপটায় ঢোকার আগেই একটা ভালো সুবিধা হলো, ফোনে নোটিফিকেশন আসে যেটাতে জানিয়ে দেওয়া হয় আপনি কী ধরনের কাজ করতে পারবেন আর কতটা ইনকাম হতে পারে।

যদি আপনার ফোনে আগে থেকেই টেলিগ্রাম ইন্সটল করা থাকে, তাহলে সরাসরি তাদের অফিসিয়াল গ্রুপে যোগ দিতে পারবেন। ওই গ্রুপে খুব পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হয় কোন কাজটা কিভাবে করবেন, কিভাবে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম হবে আর টাকা তুলবেন কীভাবে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে।

সব মিলিয়ে অ্যাপটা বেশ সহজ সরলভাবে বানানো। যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্যও অ্যাপ ব্যবহার করা আর কাজ শেখাটা কঠিন কিছু না কারণ অ্যাপটায় সবকিছু ধাপে ধাপে বোঝানো হয়।

৪. ".ySense" (সাবেক ClixSense) থেকে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম 

ySense যেটাকে আগে ClixSense নামে চিনত সবাই এখনো অনেক মানুষের কাছে খুব চেনা একটা নাম। এটা এমন একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ঘরে বসেই কিছু সহজ কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

এই সাইটে আপনি সার্ভে ফিলআপ করা, অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা বা ছোট ছোট অফার কমপ্লিট করার মতো কাজ পাবেন যেগুলো করে ধাপে ধাপে আপনার আয় বাড়তে থাকবে। একদম সাধারন মোবাইল বা কম্পিউটার থাকলেই এই কাজগুলো করা সম্ভব।

সবচেয়ে ভালো দিকটা হলো ySense থেকে আয় করা অর্থ আপনি সহজেই তুলতেও পারবেন PayPal বা অন্য কোনো সিস্টেমে।

কীভাবে এইখানে কাজ করবেন 

ySense-এ কাজ করতে হলে প্রথমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে খুব সহজভাবে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। নাম, ইমেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে কয়েক মিনিটেই রেজিস্ট্রেশন করা যায়। একবার অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললে, লগইন করলেই আপনি দেখতে পাবেন নানা রকম কাজের তালিকা যেমন সার্ভে ফিলআপ, অফার কমপ্লিট করা বা ছোট ছোট কিছু টাস্ক। 

প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট ডলারে পেমেন্ট দেওয়া হয়, তাই ধীরে ধীরে কাজ করলে আয়টাও জমে উঠবে আর একটা দারুন ব্যাপার হলো আপনি যদি আপনার বন্ধু বা পরিচিতদের এই সাইটে ইনভাইট করেন, তাহলে তাদের কাজের উপর ভিত্তি করে আপনিও কিছু কমিশন পাবেন মানে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকেও আলাদা ইনকাম করতে পারবেন।

চাইলেই আপনি ySense-এর জন্য একটা ছোট অ্যাডঅন ইনস্টল করতে পারেন ব্রাউজারে। এতে করে নতুন কাজ এলেই সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন পাবেন কাজ মিস হওয়ার সুযোগ নেই। এইভাবে ধাপে ধাপে সহজ কিছু কাজ করে, অল্প সময়েই কিছু বাড়তি ইনকাম করা একেবারেই সম্ভব।

এইখানে পেমেন্ট পদ্ধতি

ySense থেকে আপনি যেটুকু আয় করবেন, সেটা তোলার জন্য সাধারণত PayPal, Skrill বা Payoneer-এর মতো মাধ্যম ব্যবহার করতে হয়।

বাংলাদেশে যেহেতু সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা নেওয়ার অপশন নেই, তাই একটু ঘুরপথে নিতে হয়। প্রথমে আপনি Skrill বা Payoneer-এ টাকা তুলবেন, তারপর সেখান থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করবেন। এরপর চাইলে ওই টাকা মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ বা নগদে পাঠানো যায়।

হ্যাঁ, এই পদ্ধতিটা একটু সময় লাগতে পারে, আর মাঝখানে কিছু চার্জও কেটে নিতে পারে। তবে যারা ধৈর্য ধরে ধাপে ধাপে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এটা একরকম কার্যকর উপায়ই বলা যায়।

ySense-এর সুবিধা

  • ySense-এ একাউন্ট খুলতে কোনো টাকা লাগে না একদম ফ্রি রেজিস্ট্রেশন।
  • প্রতিদিনই এখানে নতুন নতুন কাজ পাওয়া যায়, তাই সময় মতো লগইন করলেই কিছু না কিছু করার সুযোগ মেলে।
  • আর একটা দারুণ দিক হলো, আপনি যদি পরিচিত কাউকে এই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসেন, তাহলে তার কাজের ওপর ভিত্তি করেও আপনি বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।

সতর্কতা

ySense আসলেই একটি বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তবে যেকোনো কিছু শুরু করার আগে যাচাই বাছাই করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইন্টারনেটে অনেক সময় কিছু প্ল্যাটফর্ম খুব দ্রুত বড় আয়ের লোভ দেখায়, যেগুলোর পিছনে প্রতারণা লুকিয়ে থাকতে পারে তাই, চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস না করে সব সময় সতর্ক থাকতে হয় আর এখান থেকে ইনকাম তুলতে চাইলে কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে কারণ পেমেন্ট পেতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।

৫. স্লাইডজয় অ্যাপ (Slidejoy App) থেকে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম 

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ হলস্লাইডজয় অ্যাপ (Slidejoy App)। Slidejoy এমন একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, যেটা আপনার ফোনের লকস্ক্রিনে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ দেয়। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, আপনি যখনই ফোন আনলক করবেন, অ্যাপটি কিছু বিজ্ঞাপন দেখাবে। চাইলে আপনি শুধু স্ক্রিন আনলক করেই চলে যেতে পারেন, আবার ইচ্ছে হলে বিজ্ঞাপনটা খুলেও দেখতে পারেন। 

এইভাবে প্রতিবার বিজ্ঞাপন দেখার বা স্ক্রিন আনলকের জন্য আপনি কিছু পয়েন্ট (যেটাকে Carats বলে) পাবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে, তারপর অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কেউ কেউ বলেন, ফেসবুক দিয়ে রেজিস্টার করলে কিছুটা বেশি ইনকাম হয়তবে এটা সব সময় ঠিক এমন হয় না, কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

আয় এবং পেমেন্ট পদ্ধতি

Slidejoy ব্যবহার করে মাসে গড়ে ৫ থেকে ১০ ডলারের মতো ইনকাম করা সম্ভব যদিও এটা একেবারে ধীর গতির আয়ের মাধ্যম। এখানে প্রতি ১০০০ Carats মানে ১ ডলার। আপনি যদি পেমেন্ট তুলতে চান, তাহলে অন্তত ২০০০ Carats জমা থাকতে হবে। যখন পর্যাপ্ত পয়েন্ট জমে যাবে, তখন আপনি PayPal, Square Cash এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। 

চাইলে এই ইনকামের একটা অংশ দানও করতে পারবেন এই অপশনটাও অ্যাপে থাকে। এই অ্যাপটি মূলত ছোটখাটো পার্শ্ব আয়ের জন্যই ভালো, কোনো বড় ইনকাম আশা করা ঠিক না।

বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার বিষয়

Slidejoy থেকে সরাসরি বিকাশে টাকা পাওয়া যায় না। তবে আপনি যদি পেমেন্ট নিতে PayPal ব্যবহার করেন, তাহলে কিছু বিশ্বস্ত থার্ড-পার্টি সার্ভিসের মাধ্যমে সেই টাকা বাংলাদেশে এনে বিকাশে নেওয়া সম্ভব। শুধু খেয়াল রাখতে হবে এই পদ্ধতিতে কিছু বাড়তি চার্জ কাটা যেতে পারে।

Slidejoy অ্যাপটি আসলেই বৈধ কিন্তু অনেকে বলেছে পেমেন্ট নিয়ে মাঝেমধ্যে ঝামেলা হতে পারে। তাই শুরু করার আগে এর নিয়ম-কানুন আর শর্তগুলো ভালো করে পড়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৬. “Earn money Apps” থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম  

আপনি চাইলে “Earn Money Apps” নামের এই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে খুব সহজেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। তারপর শুধু বিজ্ঞাপন দেখলেই শুরু হবে আপনার আয়। অনেকেই এই অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্রিতে বিজ্ঞাপন দেখে প্রতিদিনই একটু একটু করে আয় করছেন।

এই অ্যাপটা নিরাপদ এবং অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে ভালো অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। আপনি চাইলে মাসে গড়ে ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন, বিশেষ করে যদি নিয়মিত সময় দেন। আর একটা বাড়তি সুবিধা হলো—আপনি যদি আপনার কোনো বন্ধুকে রেফার করেন, তাহলে সেখান থেকেও ভালো অঙ্কের ইনকাম আসতে পারে।

তবে মাথায় রাখবেন, এটা আপনার প্রধান উপার্জনের মাধ্যম নয়। বরং অতিরিক্ত ইনকামের একটা ছোট খাট উপায় বলা যায়। শুরু করার আগে সব নিয়ম-কানুন ভালোভাবে বুঝে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।

৭. “Student job reward Apps” থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম  

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ Student job reward Apps। "Student job reward apps" মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য একটা চমৎকার সুযোগ  ঘরে বসেই কিছু সহজ কাজ করে যেমন বিজ্ঞাপন দেখা বা ছোট ছোট সার্ভে পূরণ করে আয় করার সুযোগ পাওয়া যায়। এই ধরনের অ্যাপগুলো এমনভাবে তৈরি করা যেখানে আপনি কাজের বদলে পয়েন্ট পাবেন আর সেই পয়েন্ট আপনি চাইলে টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন।

এই ধরনের কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ হলো Swagbucks, PrizeRebel আর InboxDollars। অনেক শিক্ষার্থী এগুলো ব্যবহার করে ফাঁকা সময়ে একটু বাড়তি ইনকাম করে। পয়েন্ট জমে গেলে আপনি PayPal, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অনেক দেশে ব্যবহৃত মোবাইল মানি সার্ভিস  যেমন bKash  এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

যদি আপনি bKash এ টাকা তুলতে চান তাহলে প্রথমে অ্যাপের পেমেন্ট সেটিংসে গিয়ে আপনার bKash নম্বরটা সংযুক্ত করতে হবে। তবে, মনে রাখবেন সাধারণত একটা ন্যূনতম আয় হলেই টাকা তুলতে পারবেন।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই অ্যাপগুলো একেবারে নির্ভরযোগ্য ইনকামের উৎস না হলেও, পকেট খরচ বা নাস্তার টাকাটা উঠে আসার মতো ছোট আয়ের ভালো উপায় হতে পারে। তাই সাইন আপ করার আগে দেখে নিন, অ্যাপটি আপনার দেশ ও পেমেন্ট পদ্ধতির সাথে মানিয়ে চলে কিনা।

৮.“Daily taka Apps” থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম  

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ "Daily Taka"। যদি আপনি "Daily Taka" অ্যাপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা উপার্জন করতে চান তবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের সহজ কাজ যেমন বিজ্ঞাপন দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড করা বা জরিপে অংশগ্রহণ করার জন্য পুরস্কৃত করে। এই ধরনের আয়ের জন্য কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ হলো AppKarma এবং i-Say।

AppKarma: এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের নতুন অ্যাপসের সাথে যুক্ত হয়ে, ভিডিও দেখিয়ে, জরিপ পূরণ করে এবং অন্যদের রেফার করে পয়েন্ট উপার্জন করার সুযোগ করে দেয়। একবার যথেষ্ট পয়েন্ট যখন জমা হবে তখন আপনি তা বিকাশ এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন যা বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় মোবাইল মানি সার্ভিস।    

প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর, রিওয়ার্ড সেকশনে গিয়ে বিকাশকে উত্তোলন পদ্ধতি হিসেবে নির্বাচন করতে হবে এবং বিকাশের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে পেমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

i-Say: এই অ্যাপটি Ipsos দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এটি ব্যবহারকারীদের পেইড জরিপের মাধ্যমে পয়েন্ট প্রদান করে থাকে। একবার পর্যাপ্ত পয়েন্ট সংগ্রহ করলে, আপনি সেগুলি বিকাশে পরিণত করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট অপশন হিসেবে নির্বাচন করে এবং আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন সম্পন্ন করে।   

এই প্ল্যাটফর্মগুলো শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দেখানো বা জরিপ সম্পন্ন করার মাধ্যমে উপার্জন করার সহজ উপায় নয় বরং বিকাশের মাধ্যমে নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি প্রদান করে যা আপনার উপার্জন উত্তোলনকে সহজ করে তোলে তবে প্রতিটি অ্যাপের নির্দিষ্ট শর্তাবলী যাচাই করে নিন যেমন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পয়েন্টের পরিমাণ এবং পয়েন্ট থেকে নগদে রূপান্তরের হার ভিন্ন হতে পারে।

৯. InboxDollars থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম  

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ InboxDollars।InboxDollars এমন একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ঘরে বসেই ছোট ছোট কাজ করে কিছু অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন। আপনি যদি সময় বের করে নিয়মিত কিছু কাজ করেন, তাহলে প্রতিদিন একটু হলেও ইনকাম করা সম্ভব। 

এই অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে যেভাবে আয় করা যায়, সেটা বেশ সহজ:
  • বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখা: আপনি চাইলে এখানে ভিডিও বা ছোট বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারেন। প্রতিটি ভিডিওর জন্য হয়তো খুব বেশি অর্থ দিবেনা (বেশিরভাগ সময় এক ডলারের কম), তবে একটু যদি সময় দেওয়া যায় তাহলে কিছুটা আয় জমানো যায়।                
  • জরিপে অংশগ্রহণ: এখানে পেইড জরিপ থাকে, যেগুলোতে অংশ নিলে আপনি কয়েক সেন্ট থেকে কয়েক ডলার পর্যন্ত পেতে পারবেন। জরিপ কতক্ষণ লাগে বা কতটা জটিল, তার ওপর ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করে। 
  • গেম খেলা ও অন্যান্য কাজ: আপনি চাইলে গেম খেলেও আয় করতে পারেন। আবার, কোনো সেবা সাবস্ক্রাইব করলে, কুপন প্রিন্ট করলে বা কিছু নির্দিষ্ট পণ্য কিনলে ক্যাশব্যাকের সুযোগও থাকে।
এই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট মূলত সেসব মানুষের জন্য ভালো, যারা অনলাইনে সময় কাটিয়ে একটু অতিরিক্ত পকেট মানি পেতে চান। যদিও বড় অঙ্কের ইনকাম আশা করা যাবে না, তবে ধৈর্য ধরে কাজ করলে বিকাশের মতো মোবাইল মানি সার্ভিসে টাকা তোলাও সম্ভব যদিও সেটা সাধারণত PayPal-এর মাধ্যমে ঘুরিয়ে নিতে হয়। 

তাই কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে শর্তগুলো পড়ে নিলে উপকার হবে।
সব মিলিয়ে, InboxDollars একটা সহজ ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে শিক্ষার্থী বা গৃহিণীদের জন্য যারা ঘরে বসে সামান্য ইনকাম করতে চান।

পেমেন্ট পদ্ধতি

InboxDollars থেকে আয় করা টাকা তুলতে হলে মূলত দুটি সহজ উপায় আছে  একটার নাম PayPal, আরেকটা হলো গিফট কার্ড, যেমন Amazon বা Walmart-এর মতো বড় বড় অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটার জন্য। আপনি যদি PayPal-এ টাকা তুলতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার InboxDollars অ্যাকাউন্টের নাম আর ইমেইল ঠিক PayPal-এর সাথে মিলতে হবে এটা না হলে পেমেন্ট নিতে সমস্যা হতে পারে।

এখন আপনি যদি ভাবেন যে, “আমি তো বাংলাদেশে আছি, বিকাশ বা নগদে টাকা নিতে পারব কি না?” তাহলে বলি, সরাসরি InboxDollars থেকে বিকাশ বা নগদে টাকা পাওয়া এখনো সম্ভব নয়। তবে চিন্তার কিছু নেই, একটু ঘুরপথে কাজটা করা যায়।

যদি আপনি ইনবক্সডলারে অন্তত $15 ইনকাম করেন, তাহলে সেটা PayPal-এ তুলতে পারবেন। এরপর, PayPal থেকে আপনার বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে, সেখান থেকে আবার বিকাশ বা নগদে টাকা নিতে পারবেন। কিছু থার্ড-পার্টি সার্ভিসও আছে যারা PayPal-এর টাকা বিকাশে রূপান্তর করে দেয় তবে সেক্ষেত্রে একটু বাড়তি চার্জ কেটে নিতে পারে।

আরও ভালোভাবে বুঝতে চাইলে InboxDollars-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে পারেন কিভাবে রিওয়ার্ড তোলা যায়, কত সময় লাগে আর কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হয়।

১০. GiftPanda থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম  

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার একটি অ্যাপ GiftPanda। GiftPanda হলো এমন একটা রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেটা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজ কিছু কাজ যেমন বিজ্ঞাপন দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড করা বা জরিপ পূরণ করার মতো কাজ করে পয়েন্ট জমাতে পারেন। এই পয়েন্টগুলো পরে টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়।

কীভাবে অ্যাড দেখে পয়েন্ট অর্জন করবেন?

  • প্রথমেই আপনাকে Google Play Store বা App Store থেকে GiftPanda অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন। ইমেইল বা Facebook/Google অ্যাকাউন্ট দিয়েই সহজে সাইন আপ করা যায়। 
  • অ্যাপে ঢুকে ‘Earn Rewards’ বা ‘Watch Ads’ নামে যে অংশটা আছে সেখানে গেলেই আপনি বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন।
  • প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার পর আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দেওয়া হবে, যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

আরও যেসব উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন

  • জরিপ পূরণ করে
  • নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে এবং ব্যবহার করে
  • আপনার রেফারেল লিংক দিয়ে অন্যদের আমন্ত্রণ জানিয়ে

উপার্জিত পয়েন্ট টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করার নিয়ম

GiftPanda সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা পাঠায় না। তবে আপনি চাইলে PayPal বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে উপার্জন নিতে পারেন।

এরপর PayPal থেকে বাংলাদেশে বিকাশ বা নগদে টাকা নিতে পারবেন একটু ঘুরপথে। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো, 
  • অ্যাপের “Redeem” বা “Withdraw” অংশে যান
  • সেখান থেকে পছন্দ মতো PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ড নির্বাচন করুন
  • আপনার PayPal ইমেইল বা গিফট কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিন

 PayPal থেকে বিকাশ বা নগদে টাকা পাওয়ার ধাপ

  • একটা PayPal অ্যাকাউন্ট খুলুন (আপনার ইমেইল ব্যবহার করে)
  • তারপর Xoom, Payoneer, বা কোনো বিশ্বস্ত অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করে PayPal-এর টাকা বিকাশ/নগদে পাঠান
  • এসব এক্সচেঞ্জার সাধারণত আপনার বিকাশ বা নগদ নম্বরে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেয়

গিফট কার্ডের টাকা তুলতে চাইলে?

  • গিফট কার্ড বিক্রয়যোগ্য প্ল্যাটফর্মে (যেমন Reddit gift card exchange, Facebook group বা Trustpilot-রেটেড সাইটগুলোতে) বিক্রি করে টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা আপনি বিকাশ বা নগদে নিতে পারেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • যেকোনো এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন তারা বিশ্বাসযোগ্য কি না
  • অনেক সময় PayPal বা এক্সচেঞ্জারের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে কিছু ট্রান্সফার ফি কাটা হয়
  • অচেনা বা সন্দেহজনক সাইট বা ব্যক্তির মাধ্যমে লেনদেন করবেন না
  • চাইলে কোনো পরিচিত ফ্রিল্যান্সার বা PayPal ব্যবহারকারীর সাহায্য নিতে পারেন
সব মিলিয়ে, GiftPanda থেকে টাকা ইনকাম করা একেবারে সম্ভব, শুধু একটু ধৈর্য আর সঠিক উপায় জানা দরকার। আপনি যদি নিয়মিত সময় দেন, তাহলে এখান থেকে ভালোই পকেটমানি ইনকাম করতে পারবেন।

১১. Lucky Day থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

Lucky Day অ্যাপটা আসলে মজার একটা জিনিস। আপনি এখানে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে বা লটারি খেলতে পারেন, আর মাঝে মাঝে কিছু অ্যাড দেখলে সেখান থেকেও কিছু পয়েন্ট মিলে যায়। এসব পয়েন্ট জমিয়ে আপনি PayPal এর মাধ্যমে কিছু টাকা তুলতে পারেন। সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা পাওয়া যায় না, তবে PayPal-এর টাকা আপনি চাইলে মানি এক্সচেঞ্জার বা Xoom-এর মতো মাধ্যম ব্যবহার করে বিকাশে নিতে পারেন।

তবে একটা কথা মাথায় রাখুন এই অ্যাপ থেকে বড় অঙ্কের ইনকাম আশা করবেন না। এটা পুরোপুরি ভাগ্যের উপর নির্ভর করে, অনেক সময় কেটে যায় কিছু পাওয়ার জন্য। তাই কেউ যদি একটু বিনোদনের ছলে, সময় কাটানোর মতো করে ব্যবহার করে, তাহলে ভালো। কিন্তু যদি মনে করেন এটা দিয়ে মাস শেষে বড় টাকা ইনকাম হবে তাহলে আপনি হতাশ হতে পারেন। সতর্কভাবে ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাবেন।

১২. TapCash Rewards থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

TapCash Rewards একদম সহজ একটা অ্যাপ, যেটা দিয়ে আপনি একটু সময় দিয়ে কিছু পয়েন্ট জমাতে পারেন। এখানে কাজ বলতে খুব কঠিন কিছু না যেমন, অ্যাড দেখা, ছোট ছোট অ্যাপ ডাউনলোড করে কিছুক্ষণ ব্যবহার করা, বা মাঝেমাঝে ছোট জরিপ (survey) পূরণ করা।

অ্যাপটা Google Play Store-এ আছে, ডাউনলোড করেই আপনি ফেসবুক বা ইমেইল দিয়ে সাইন আপ করতে পারবেন। এরপর অ্যাপের ভেতরে "Watch Ads" নামে একটা সেকশন আছে, সেখানে ঢুকে প্রতিদিন কিছু বিজ্ঞাপন দেখলেই কিছু পয়েন্ট পাবেন। তবে প্রতিদিন সবসময় অনেকগুলো অ্যাড পাওয়া যায় না, কিছু সীমা থাকে।

পয়েন্ট জমাতে হলে মাঝে মাঝে অন্য কাজও করতে হবে যেমন, নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে সেটি একটু ব্যবহার করলে, বা কোন জরিপে অংশ নিলে পয়েন্ট বাড়ে। আপনার রেফারেল লিঙ্ক দিয়ে যদি কাউকে ইনভাইট করেন, তাহলে সেখান থেকেও কিছু বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যায়।

এই পয়েন্ট জমে গেলে PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়। PayPal অ্যাকাউন্টে টাকা এলে সেটা সরাসরি বিকাশ বা নগদে তোলা যায় না, কিন্তু অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জার, Payoneer বা Xoom ব্যবহার করে সহজেই বিকাশ/নগদে নিতে পারবেন। ট্রান্সফার করতে গেলে কিছু ফি কেটে নিতে পারে (প্রায় ২-৫%)।

তবে একটা জিনিস মনে রাখা দরকার এটা দিয়ে বড় টাকা ইনকাম সম্ভব না। মজা করে একটু বিনোদন নিতে নিতে সামান্য কিছু ইনকাম করা যায়, কিন্তু একে একদম ফুল-টাইম ইনকামের মতো ধরে নিলে হতাশ হবেন।

সবশেষে বলি, TapCash Rewards অ্যাপটা মজার, কাজগুলো সহজ, কিন্তু ধৈর্য দরকার। নিয়মিত ব্যবহার করলে কিছু পয়েন্ট জমবে, আর ঠিকমতো রিডিম করলে PayPal-এর মাধ্যমে একটু বাড়তি পকেট মানি পাওয়া যায়।

১৩. Poll Pay থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

Poll Pay একটা সহজ অ্যাপ, যেটা দিয়ে আপনি জরিপ (survey) পূরণ করে কিছু পয়েন্ট জমাতে পারেন। এই পয়েন্টগুলো পরে PayPal এর মাধ্যমে ক্যাশে রূপান্তর করা যায়। কিন্তু সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা পাওয়া যায় না।

আপনি প্রথমে একটা PayPal অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। এটা একদম ফ্রি, শুধু একটা ইমেইল দরকার। এরপর Poll Pay অ্যাপের ভেতরে “Redeem” বা “Cash Out” সেকশনে গিয়ে PayPal সিলেক্ট করুন আর আপনার PayPal ইমেইল দিন।

যখন PayPal-এ টাকা চলে আসবে, তখন সেটাকে বাংলাদেশে আনতে Payoneer, Xoom, বা অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করতে হবে। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে PayPal থেকে ডলার নিয়ে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু সেক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কাউকে বেছে নিতে হবে।

টাকা ট্রান্সফারের সময় ২-৫% এর মতো ফি কাটা পড়তে পারে, এটা এক্সচেঞ্জার বা প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করে।

Poll Pay অ্যাপ দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা ইনকাম করা সম্ভব না, তবে সময় নিয়ে কাজ করলে কিছু পয়েন্ট জমে যায়। প্রতিদিন একটু সময় দিলে মাস শেষে ছোটখাটো পকেট মানি হিসেবে কিছু টাকা তুলতে পারবেন।

সবশেষে বলি, এটা দিয়ে মোটা অঙ্কের ইনকাম হবে না, তবে যাদের সময় আছে আর অনলাইনে ঘাটাঘাটি করতে ভালো লাগে, তাদের জন্য একটা ভালো ছোটখাটো ইনকামের সুযোগ হতে পারে।

এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটসমূহ 

এড দেখে টাকা ইনকাম করে  বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নেওয়া যায় এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যা সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হল, 

১. i Razoo থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

.i Razoo একটা সহজ অ্যাপ, যেখানে আপনি অ্যাড দেখার, সার্ভে পূরণের বা কিছু অফার সম্পন্ন করার মাধ্যমে পয়েন্ট জমাতে পারেন। এই পয়েন্টগুলো পরে ক্যাশ আউট করা যায়, কিন্তু সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা পাওয়া যায় না।

যদি আপনি .i Razoo অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে প্রথমে Google Play Store বা App Store থেকে অ্যাপটা ডাউনলোড করে নিন। তারপর একটা অ্যাকাউন্ট খুলুন। এরপর প্রতিদিন কিছু অ্যাড দেখুন, জরিপ (survey) দিন, কিংবা কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করে কাজ শেষ করুন এভাবেই পয়েন্ট জমবে।

পয়েন্ট জমলে আপনি PayPal-এ ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আগে একটা PayPal অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। PayPal থেকে টাকা তুলতে চাইলে আপনি Payoneer, Xoom বা ট্রাস্টেড মানি এক্সচেঞ্জারদের মাধ্যমে তা বিকাশ বা নগদে আনতে পারবেন।

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে এই অ্যাপ দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা ইনকাম করা যায় না। দিনে দিনে একটু একটু করে পয়েন্ট জমে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে। রিডিম করার জন্য সাধারণত $5 বা $10 এর সমান পয়েন্ট লাগবে। আর টাকা তোলার সময় কিছু ফি কাটা যায়, সেটা মাথায় রাখতে হবে।

সবশেষে বলবো, যাদের একটু সময় আছে, অনলাইন থেকে ছোটখাটো ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য .i Razoo অ্যাপটা মন্দ না। তবে এটা একেবারে পকেট খরচের জন্য, কোনোভাবেই ফুলটাইম আয়ের বিকল্প না।

২.Neobux থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

Neobux হলো একটা জনপ্রিয় অনলাইন সাইট, যেটা দিয়ে আপনি ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন। সবচেয়ে সহজ কাজ হলোম অ্যাড দেখা। প্রতিদিন কিছু অ্যাড দেখার সুযোগ দেয়, আর প্রতিটা অ্যাড দেখলেই আপনি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে একটু করে পয়েন্ট বা টাকা পাবেন।

Neobux-এ আপনি শুধু অ্যাড দেখেই না, মাঝে মাঝে কিছু সার্ভে আসে, বা ছোটখাটো অফার দেয় সেগুলো করলে অতিরিক্ত ইনকাম হয়। আর একটা ভালো দিক হলো, আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের রেফার করতে পারেন। তারা যদি Neobux ব্যবহার করে, তাহলে সেখান থেকেও আপনি কিছু কমিশন পেতে পারেন।

তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন Neobux থেকে সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা ওঠানো যায় না। টাকা তুলতে হলে আগে আপনাকে PayPal অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। পরে Neobux থেকে টাকা PayPal-এ নিয়ে তারপর আপনি এক্সচেঞ্জারদের সাহায্যে সেটা বিকাশ বা নগদে আনতে পারবেন।

এই পুরো প্রক্রিয়াটা একটু সময়সাপেক্ষ আর ধৈর্যের দরকার হয়। প্রথমদিকে খুব বেশি ইনকাম হবে না, ধীরে ধীরে কিছু জমলে তারপর ক্যাশ আউট করা যায়। আর রিডিম করতে হলে সাধারণত $২ বা তার বেশি জমাতে হয়।

সংক্ষেপে বললে Neobux দিয়ে আপনি ছোটখাটো অনলাইন ইনকাম করতে পারেন, তবে এটা কোন ফুলটাইম আয়ের উৎস না। ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে কিছু পকেট খরচ উঠে আসতে পারে। তবে সব কিছু ভালোভাবে বুঝে তারপর কাজ শুরু করাই ভালো।

৩. অ্যাড ওয়ালেট(Adwallet) থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

AdWallet একটা সহজ অ্যাপ, যেটা দিয়ে আপনি মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন। কাজ খুবই সোজা—অ্যাপটা ডাউনলোড করে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, তারপর অ্যাড দেখলেই আপনি পয়েন্ট পাবেন। প্রতিটা অ্যাড দেখতে হয় ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিট। এই সময়টা শেষ হলে অ্যাপ আপনাকে কিছু পয়েন্ট দিয়ে দেয়।


এই পয়েন্টগুলো জমা হলে সেগুলো আপনি টাকা হিসেবে তুলতে পারবেন। মাঝে মাঝে অ্যাপ কিছু অতিরিক্ত অফার বা ছোট কাজও দেয়, যেগুলো করলে বাড়তি ইনকাম হয়। আর যদি আপনি কাউকে রেফার করেন, তাহলে সেখান থেকেও ইনকাম হয়।


তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে—AdWallet থেকে সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা ওঠানো যায় না। আগে আপনাকে PayPal অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে টাকা নিলে, পরে PayPal থেকে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করে বিকাশ বা নগদে নিতে হবে।


এই টাকা রূপান্তরের জন্য কিছু লোকাল মানি এক্সচেঞ্জার বা Payoneer, Xoom-এর মতো সেবা ব্যবহার করা যায়। তবে এই এক্সচেঞ্জগুলো একটু চার্জ কেটে রাখে আর টাকা আসতেও ৩-৫ দিন সময় লাগে।


সব মিলিয়ে, AdWallet দিয়ে খুব বড় কিছু ইনকাম হবে না ঠিকই, কিন্তু যদি নিয়মিত সময় দিয়ে অ্যাড দেখেন, কিছু পয়েন্ট জমাবেন, তাহলে ছোটখাটো খরচের জন্য কিছু টাকা পাওয়া যায়। সব সময় সতর্ক থাকুন, যেকোনো অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপে কাজ করার আগে ভালভাবে বুঝে নিন।

৪. (Paidverts) থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

Paidverts একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই প্রক্রিয়া বেশ কয়েকটি ধাপের মধ্যে বিভক্ত, প্রথমে সাইন আপ করতে হয় এবং তারপর অ্যাক্টিভেশন বিজ্ঞাপন দেখতে হয়। প্রতিদিন ব্যবহারকারীদের ১৬টি অ্যাক্টিভেশন বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যার মাধ্যমে তারা BAP (Bonus Ad Points) উপার্জন করেন। 

উপার্জিত টাকার পরিমাণ BAP পয়েন্টের ওপর নির্ভর করে। প্রথমদিকে, আপনি প্রকৃত টাকা না পেয়ে BAP পয়েন্ট উপার্জন করবেন কিন্তু একবার পর্যাপ্ত BAP পয়েন্ট জমা হলে, আপনি প্রকৃত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। প্রতিটি BAP পয়েন্টের মান সামান্য হলেও, সময়ের সাথে সাথে আপনি আরও BAP জমা করলে আপনার উপার্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। 

আপনার উপার্জন বাড়ানোর একটি উপায় হল আপগ্রেড কেনা। উদাহরণস্বরূপ, $০.০৫-র একটি আপগ্রেড আপনাকে "রিসাইকেলড অ্যাডস" দেখানোর সুযোগ দেয় যা এমন বিজ্ঞাপন যা অন্য ব্যবহারকারীরা এখনও দেখেনি। এই বিজ্ঞাপনগুলি সাধারণত আরও বেশি উপার্জন প্রদান করে যা আপনার উপার্জন বাড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ায়। 

এছাড়াও, অ্যাড প্যাক কেনার মাধ্যমে আপনার উপার্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, $১ এর একটি অ্যাড প্যাক অনেক BAP পয়েন্ট প্রদান করে এবং $১.৫৫-র সমপরিমাণ বিজ্ঞাপন উপার্জনের সম্ভাবনা তৈরি করে। Paidverts একটি রেফারেল প্রোগ্রামও অফার করে যেখানে আপনি যে কাউকে প্ল্যাটফর্মে রেফার করবেন তাদের উপার্জন থেকে ১০% কমিশন পাবেন। 

এটি আপনার প্যাসিভ ইনকাম বাড়ানোর একটি ভাল উপায় হতে পারে। যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে বা আপনি ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন মাধ্যমে Paidverts প্রচার করতে চান, তাহলে আপনি আপনার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে এবং আপনার উপার্জন সর্বাধিক করতে পারেন। 

টাকা উত্তোলনের জন্য, আপনি আপনার উপার্জন PayPal-এর মতো একটি পেমেন্ট মেথডে রূপান্তর করতে পারেন। তবে, আপনাকে মেনিমাম পেয়আউট থ্রেশহোল্ড পূর্ণ করতে হবে যা প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। নিয়মিত আপনার অ্যাকাউন্ট চেক করতে ভুলবেন না, যাতে আপনি নতুন বিজ্ঞাপনগুলি মিস না করেন।

৫. (Mypoints) থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

MyPoints একটা মজার ও সহজ অ্যাপ, যেটা দিয়ে আপনি ঘরে বসে বিজ্ঞাপন দেখে, সার্ভে ফিলাপ করে বা অনলাইন শপিং করে পয়েন্ট ইনকাম করতে পারেন। একদম ফ্রি সাইন আপ করে কাজ শুরু করা যায়। ভিডিও দেখে পয়েন্ট জমা হয়, আর চাইলে আপনি অটোপ্লে চালিয়ে রেখে প্লেলিস্ট থেকেও পয়েন্ট পেতে পারেন মানে আপনি অন্য কাজ করলেও চলবে।

এই পয়েন্টগুলো পরে আপনি PayPal-এ নগদ টাকা হিসেবে তুলতে পারেন বা চাইলে গিফট কার্ডেও রিডিম করতে পারেন। বড় বড় ব্র্যান্ডের গিফট কার্ডও মিলে। যারা বেশি ইনকাম করতে চান, তারা বন্ধুদের রেফার করেও বোনাস পেতে পারেন এতে পয়েন্ট জমে দ্রুত।

তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার, MyPoints থেকে সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা তুলতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে PayPal এ টাকা তুলতে হবে, তারপর সেটাকে লোকাল মানি এক্সচেঞ্জ বা Payoneer, Xoom-এর মতো সেবা ব্যবহার করে বিকাশ বা নগদে আনতে হবে।

এই রকম সাইট থেকে ইনকাম করার জন্য একটু ধৈর্য দরকার। শুরুতে হয়তো খুব বেশি টাকা পাবেন না, কিন্তু নিয়মিত কাজ করলে ধীরে ধীরে ভালো পরিমাণে পয়েন্ট জমবে। আর হ্যাঁ, Gigs Doneright-এর মতো কিছু সাইটে আপনি MyPoints থেকে কিভাবে বেশি ইনকাম করা যায় এই নিয়ে গাইড আর টিপস পাবেন।

সব মিলিয়ে, যদি একটু সময় দিতে পারেন, তাহলে MyPoints দিয়ে বাসায় বসেই ছোটখাটো ইনকাম করা সম্ভব।

৬. (Freecash) থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

Freecash একটা দারুন অ্যাপ, যেটা দিয়ে আপনি খুব সহজ কিছু কাজ করে পয়েন্ট আয় করতে পারেন যেমন বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে ফিলাপ করা বা নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করা। প্রতিদিনের ফাঁকে ফাঁকে এসব কাজ করে আপনি ধীরে ধীরে পয়েন্ট জমাতে পারবেন, যেটা পরে টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়।

সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিজ্ঞাপন দেখা। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও দেখে আপনি কিছু পয়েন্ট পাবেন। এরপর সার্ভে ফিলাপ করেও ভালো পয়েন্ট জমে। আর নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে কিছুক্ষণ ব্যবহার করলেও ইনকাম হয়। এভাবে কাজ করে যখন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জমে যাবে, তখন আপনি সেটা তুলতে পারবেন।

Freecash সাধারণত PayPal-এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়। আপনি যদি PayPal অ্যাকাউন্ট খুলে নেন, তাহলে একেবারে $1 হলেই টাকা তুলতে পারবেন। চাইলে গিফট কার্ডেও নিতে পারেন, যেমন Amazon বা Apple-এর। বাংলাদেশে সরাসরি বিকাশে টাকা পাওয়া না গেলেও, PayPal থেকে টাকা নিয়ে পরে লোকাল মানি এক্সচেঞ্জ বা কিছু বিশ্বস্ত ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিকাশ বা রকেটে এনে নিতে পারেন।

সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এটা একদম ফ্রি এবং আপনি নিজের সময়মতো কাজ করতে পারেন। দিনে একটু সময় দিলে মাস শেষে ছোটখাটো একটা ইনকাম দাঁড়িয়ে যেতে পারে। এক কথায়, এটা ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে পকেট খরচের একটা সহজ উপায়। নিয়মিত করলে ভালোই হবে, শুধু ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।

৭. “Coinpayu” থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

Coinpayu একটা PTC (Paid-to-Click) ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে পয়েন্ট বা ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জন করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে সাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে, তারপর বিজ্ঞাপন দেখে পয়েন্ট জোগাড় করতে পারবেন। এছাড়াও কিছু কাজ যেমন সার্ভে করা বা মাইক্রো টাস্কের মাধ্যমে আরও পয়েন্ট আর্ন করতে পারবেন।

আরেকটা সুবিধা হলো, আপনি নতুন মানুষদের রেফার করে অতিরিক্ত বোনাস পেতে পারেন, যেটা আপনার ইনকাম বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন, Coinpayu সরাসরি বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট দেয় না। পেমেন্ট পেতে হলে আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন Bitcoin, Ethereum বা Litecoin নিতে হবে। তারপর সেগুলি আপনি LocalCryptos বা Binance মতো প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করতে পারেন। তারপর ব্যাংক বা স্থানীয় এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে টাকা বিকাশ বা নগদে পাঠানো যাবে।

এটা মনে রাখবেন যে, Coinpayu-তে পেমেন্ট পাওয়ার জন্য সাধারণত কিছু পয়েন্ট জমাতে হয়—যেমন, ৩০০০ পয়েন্ট হতে পারে। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কত সময় দেন, তাই যদি নিয়মিত কাজ করেন, তবে ভালো আয়ের সুযোগ পাবেন। সবশেষে, বিশ্বাসযোগ্য এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে সতর্ক থাকুন যাতে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হন।

৮. "Gmarket-Global"  থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম 

Gmarket-Global ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করা আর অ্যাড দেখে আয়ে শুরু করা বেশ সহজ। প্রথমে, তাদের সাইটে গিয়ে “নতুন ব্যবহারকারী নিবন্ধন” অপশনটাতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার ফোন নাম্বার দিন, নাম লিখুন এবং একটা ৬ বা ৮ ডিজিটের পাসওয়ার্ড সেট করে নিবন্ধন করুন। এরপর, স্বয়ংক্রিয় কোড আসবে, সেটা ভেরিফাই করে “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

অ্যাড দেখে আয় করতে হলে প্রথমে ভিআইপি টাস্ক আনলক করতে হবে। এরপর, “Task” সেকশনে গিয়ে কিছু টাস্ক বাছাই করুন এবং কাজ শুরু করুন। কাজ শেষ করার পর, সেই ওয়েবসাইটের লিংক কপি করে কাজ সম্পন্ন করে স্ক্রিনশট তুলুন, তারপর “স্ক্রিনশট জমা দিন” অপশনে আপলোড করুন।

আর একটা ভাল সুযোগ হচ্ছে রেফারাল প্রোগ্রাম। আপনি যদি বন্ধু বা পরিচিতদের রেফার করেন, তাহলে প্রতি রেফারেলে ১৮% কমিশন পাবেন, যার মাধ্যমে আয় আরও বাড়ানো সম্ভব। নিয়মিত কাজ করলে এখানে ভালো উপার্জন করা যায়। সবমিলিয়ে, Gmarket-Global খুবই সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে আয় করার সুযোগ দেয়।

৯. “Meta pro space” থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম 

Meta Pro Space একটি ব্লকচেইন-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারেন। প্রথমে, আপনাকে সাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে, যেখানে আপনার নাম, ফোন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এরপর, আপনাকে কিছু টাস্ক কমপ্লিট করতে হবে, যেমন বিজ্ঞাপন দেখা বা নির্দিষ্ট কাজ করা, এবং এর মাধ্যমে আপনি পয়েন্ট উপার্জন করবেন। এছাড়া, আপনি যদি অন্যদের রেফার করেন, তাহলে প্রতি রেফারালে ১৮% কমিশন পাবেন।

এছাড়া, এখানে মাসিক বেতনের সুবিধাও রয়েছে, যেটা আপনার টিম মেম্বারদের সংখ্যা অনুযায়ী বাড়তে পারে। যখন আপনি কাজ করে পয়েন্ট অর্জন করবেন, তখন সেই টাকা আপনার প্ল্যাটফর্ম ওয়ালেটে জমা হয়ে যাবে। এরপর, আপনি সহজেই বিকাশ বা নগদে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

কিন্তু মনে রাখবেন, যে কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার আগে তার রিভিউ এবং ইউজার রেটিং দেখে নেয়া জরুরি, কারণ অনেক সময় নতুন প্ল্যাটফর্ম গুলো আকর্ষণীয় দেখালেও, পরে ভুয়া হতে পারে। তাই, সবসময় সাবধান থাকুন এবং যেকোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন। Meta Pro Space একটি ভালো অপশন হতে পারে, তবে গবেষণা করার পরেই এগিয়ে চলুন।

১০. “Adbtc” থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম 

Adbtc একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে বিটকয়েন আয় করতে পারেন। প্রথমে, আপনাকে সাইটে গিয়ে সহজে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ইমেল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর, বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে হবে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার পর আপনি কিছু বিটকয়েন আয় করবেন। যদি আপনি আপনার বন্ধুদের রেফার করেন, তাহলে তাদের আয়ের কিছু অংশও আপনি পাবেন।

তবে, Adbtc সরাসরি বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট দেয় না। আপনি যে বিটকয়েন উপার্জন করবেন, সেটা উত্তোলন করতে হবে। এজন্য, আপনাকে কোনো ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করতে হবে, যেমন LocalBitcoins বা Binance। সেখানে বিটকয়েন বিক্রি করে টাকা স্থানান্তর করা যায়। এরপর, আপনার টাকা বিকাশ বা নগদে ট্রান্সফার করা যাবে।

তবে, মনে রাখবেন যে Adbtc কিংবা এ ধরনের সাইটগুলো থেকে আয় ধীরে ধীরে হয়, এবং অতিরিক্ত লাভের কোনো প্রতিশ্রুতি তারা দেয় না। কাজ শুরুর আগে, সাইটের বিশ্বস্ততা যাচাই করে নিন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়।

১১. QuickRewards থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

QuickRewards একটা সহজ এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখতে, ভিডিও দেখতে বা গেম খেলে পয়েন্ট আয় করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে QuickRewards ওয়েবসাইটে গিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে, যার জন্য শুধুমাত্র ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দরকার। তারপর, সাইটে প্রদত্ত বিজ্ঞাপন বা ভিডিও দেখে আপনি পয়েন্ট সংগ্রহ করবেন। এছাড়া, গেম খেলে আরও বেশি পয়েন্টও জমা করা যায়।


এই পয়েন্টগুলো PayPal-এর মাধ্যমে নগদ টাকায় পরিণত করা যায়, তবে সরাসরি বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট পাবেন না। তাই, PayPal থেকে টাকা উত্তোলন করে, একটি বিশ্বস্ত এক্সচেঞ্জারের মাধ্যমে সেটি বিকাশ বা নগদে রূপান্তর করতে হবে।


তবে, মনে রাখবেন কাজ শুরু করার আগে QuickRewards-এর শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন, যেন কোনো সমস্যা না হয়। এটি একটি ভালো উপার্জনের প্ল্যাটফর্ম, তবে কিছুটা ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।

১২. "PrizeRebel" থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

PrizeRebel একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি বিভিন্ন ছোটখাটো কাজ করে আয় করতে পারেন। এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে পূরণ করা, ভিডিও দেখা, আর রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা। প্রথমে PrizeRebel-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনি কাজ শুরু করতে পারেন, এবং প্রতি কাজের জন্য পয়েন্ট জমা হবে।

এই পয়েন্টগুলো আপনি PayPal, গিফট কার্ড (যেমন Amazon বা Walmart), বা প্রিমিয়াম পণ্য হিসেবে উত্তোলন করতে পারবেন। তবে সরাসরি বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট পাওয়া যায় না। PayPal থেকে টাকা তুলে, আপনি সেই টাকা স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন, তারপর বিকাশ বা নগদে নিতে পারবেন।

PrizeRebel বেশ সহজ এবং নিরাপদ একটা প্ল্যাটফর্ম, তবে কাজ শুরু করার আগে এর শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন। পয়েন্ট জমা হলে, আপনি সেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন, তবে কিছু সীমা পূর্ণ হওয়ার পরই আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন।

১৩. "GrabPoints" থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

GrabPoints একটি সহজ এবং জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে, ভিডিও দেখে, অথবা ছোট ছোট কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি নতুন ব্যবহারকারী হন, তবে সাইন আপ করার সময় সাধারণত একটি বোনাসও পাবেন। এরপর আপনি বিজ্ঞাপন দেখতে, সার্ভে পূরণ করতে বা বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন, এবং প্রতিটি কাজের জন্য আপনি পয়েন্ট উপার্জন করবেন।

পয়েন্ট জমা হলে, আপনি সেগুলো PayPal অথবা গিফট কার্ডের মাধ্যমে টাকা বা পণ্য হিসেবে পেতে পারেন। তবে, সরাসরি বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট পাওয়া যায় না। PayPal থেকে টাকা তুলে, আপনি সেই অর্থ স্থানীয় ব্যাংকে অথবা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিকাশে স্থানান্তর করতে পারেন।

GrabPoints ব্যবহার করা বেশ সহজ এবং নির্ভরযোগ্য, তবে কাজের প্রকৃতি ও পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পর্কে আগে থেকে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে শুরু করা উচিত। কিছু কাজ একটু বেশি সময় নিয়ে করা হয়, তবে সেই কাজগুলোর পয়েন্টও বেশি থাকে, তাই যত বেশি কাজ করবেন, তত বেশি আয় করবেন।

১৪. "PrizeRebel" থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

PrizeRebel হলো একটি জনপ্রিয় GPT (Get Paid To) ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি বিভিন্ন কাজ করে পয়েন্ট উপার্জন করতে পারেন। আপনি বিজ্ঞাপন দেখতে, সার্ভে পূরণ করতে, পণ্য রিভিউ করতে, এবং রেফারেল দিয়ে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে আপনি PayPal বা উপহার কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন।

কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে PrizeRebel-এ ফ্রি একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর নানা ধরনের কাজ যেমন ভিডিও দেখা বা রিভিউ করা শুরু করতে পারেন। প্রতিটি কাজের জন্য আপনি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পাবেন, যা জমা হলে আপনি তা নগদ অর্থে রূপান্তর করতে পারবেন। তবে, PrizeRebel সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা দেয় না, তবে PayPal দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যায়।

আপনার পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে একটা নির্দিষ্ট সীমা পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত (সাধারণত $5)। তারপর PayPal থেকে টাকা তুলে, আপনি তা স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অথবা মানি ট্রান্সফার সেবা ব্যবহার করে বিকাশে আনতে পারবেন। কাজ শুরু করার আগে PrizeRebel-এর শর্তাবলী ভালোভাবে বুঝে নিন এবং সাবধানে কাজ করুন, যাতে স্ক্যামের শিকার না হন।

১৫. "Jump Task" থেকে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

JumpTask হলো একটি মাইক্রোটাস্ক ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন। এখানে আপনি অ্যাড দেখা, সার্ভে পূরণ করা, ডেটা এন্ট্রি করা এই ধরনের কাজগুলো করতে পারেন। কাজ শেষ করার পর আপনাকে পেমেন্ট দেওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি আকারে, বিশেষ করে JumpToken (JMPT)।

JumpTask সরাসরি বিকাশ বা নগদে টাকা দেয় না, তবে আপনি পেপাল বা অন্য ক্রিপ্টো ওয়ালেট ব্যবহার করে আপনার আয় তুলে নিতে পারবেন। যদি আপনি বাংলাদেশে বিকাশ বা নগদে টাকা চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ যেমন Binance ব্যবহার করে সেই ক্রিপ্টো টাকায় রূপান্তর করতে হবে। কিছু এক্সচেঞ্জ বিকাশ বা নগদে টাকা পাঠানোর সুবিধা দেয়।

তবে, সাইট ব্যবহার করার আগে সঠিকভাবে যাচাই করে নিন যেন কোনো প্রতারণা না হয় এবং কাজ করার জন্য কোনো অযথা ফি বা পেমেন্ট না দিতে হয়। JumpTask হতে পারে একটি ভাল সুযোগ, বিশেষ করে যারা পার্ট-টাইম আয়ের খোঁজে রয়েছেন।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই পোস্টটি বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা আয়ের নতুন কোনো উপায় খুঁজছেন। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাজে আসবে। যদি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসে, তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। উপরোক্ত নিয়ম অনুসারে এড দেখে টাকা আয় করে, সহজেই বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট পেতে পারেন। যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পাশে থাকুন, ধন্যবাদ! 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url