আপনার ফেসবুক আইডি কে টাকা ইনকামের উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় সম্পর্কে জানা জরুরি। আজকের আলোচনায় সে বিষয়ে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ফেসবুক থেকে খুব সহজেই টাকা আয় করার ১০টি উপায় জেনে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে দ্রুত মূল আলোচনায় চলে যান।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায়
ফেসবুকে বিভিন্নভাবে পণ্য বিক্রি করা যায় যেমন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার এবং মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে অনেকেই ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে নিজের পণ্য বিক্রি করছে।
তবে আগের থেকে আয়ের পরিমান কমে গেছে ফেসবুকে যেমন, ২০১৮ সালে যেখানে একটি পেজের একটি অর্গানিক পোস্ট মোট ফলোয়ারের প্রায় ৭ শতাংশ রিচ করত সেটা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এমনকি যারা বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরশিপের জন্য আলাদাভাবে অর্থ ব্যয় করছেন তাদের খেত্রেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছেনা।
আরও পড়ুনঃ
এসবের পরও এর একটা ভাল দিক হল এই প্ল্যাটফর্মে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এবং সাথে সাথে বিপুল সংখ্যক ফলোয়ারদের জন্য আয় করার নতুন এবং আরও উন্নত কিছু সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখন নিচে আলোচনা করব ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায়,
১. ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর মধ্যে প্রথম উপায় হছে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করে আয়। আপনার ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন হবে কিনা সেইজন্য আপনি ক্রিয়েটর স্টুডিওর মনিটাইজেশন ট্যাবে যাবেন। যদি মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য হন তাহলে নিম্নলিখিত কিছু শর্ত মানতে হবে,
- যেকোনো ধরনের নিষিদ্ধ বা অশ্লীল বিষয়বস্তু আপলোড করা থেকে বিরত থাকতে হবে যেটাকে বলে ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা।
- আপনার কন্টেন্ট এর উৎস থিক থাকতে হবে এবং অর্থ লেনদেনের নিওম মানতে হবে যেটাকে বলে পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি।
২. ফেসবুকে রিলস ভিডিও বানিয়ে আয়
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর মধ্যে দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে ফেসবুকে রিলস ভিডিও বানিয়ে আয় করা। আপনি ফেসবুকে রিলস বানিয়েও আয় করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে রিলদ মনিটাইজ করতে হবে।
রিলস মনিটাইজ হতে হলে নিম্নলিখিত কিছু শর্ত মানতে হবে,
- আপনার পেইজে খুব ভাল সংখ্যক ফলোয়ার থাকা জরুরী এবং দর্শকের উপস্থিতি সক্রিয় থাকতে হবে।
- কোন ধরনের উস্কানিমূলক, অশালীন বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট বানান যাবেনা যেটাকে বলে ফেসবুকের কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি।
- ফেসবুক রিলসে যদি আপনি ইন-স্ট্রিম অ্যাড ফিচারটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ভিডিওতে মাঝে মাঝে বা শেষে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এই বিজ্ঞাপন যখন দর্শকরা দেখবে তখন আপনার আয় হবে।
- নির্মাতাদের উৎসাহিত করার জন্য ফেসবুক একটা বিশেষ সুবিধা দেয়। যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউ পান তাহলে ফেসবুক আপনাকে রিলস প্লে বোনাস সুবিধা দিবে।
- এগুলো ছাড়াও আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য আপনার রিলস ভিডিওতে প্রচার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। যে ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করবেন তাদের পণ্য বিক্রিতে সাহায্য করার জন্য আপনি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার শক্তিশালী ফলোয়ার বেস থাকতে হবে।
৩. ইন-স্ট্রিম অ্যাড থেকে ইনকাম
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর মধ্যে তৃতীয় উপায় হচ্ছে ইন-স্ট্রিম অ্যাড থেকে ইনকাম। ফেসবুক ইন-স্ট্রিম অ্যাড থেকে আয় করতে চাইলে কয়েকটি শর্ত মানতে হয়,
- ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনি যে পেইজটি ব্যবহার করছেন সেই পেইজে কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
- এখানে ভিডিওর ওয়াচটাইমও কাউন্ট হয়। এক্ষেত্রে গত দুই মাসে মানে ৬০ দিনে আপনার ভিডিওর ওয়াচটাইম হতে হবে ৬ লাখ মিনিট।
- ভিডিওগুলো অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে এবং আপনার অন্তত ৫ টি ভিডিও থাকতে হবে এবং প্রতিটি ভিডিও ৯০ সেকেন্ড (১.৫ মিনিট) হতে হবে।
- কোন রকম নিষিদ্ধ বিষয় বা নিয়ম ভাঙ্গে এরকম কনটেন্ট আপলোড দেওয়া যাবেনা।
আপনি যদি ইন-স্ট্রিম অ্যাড চালু করতে চান তাহলে আপনাকে সোজা চলে যেতে হবে Creator Studio-তে সেখানে গিয়ে Monetization’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। দর্শকরা যখন বিজ্ঞাপন দেখবে তখন আপনার ইনকাম হবে।
৪. স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর চতুর্থ উপায় হচ্ছে স্পন্সরশিপ এবং ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে আয়। এই পদ্ধতি খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনকও। এই উপায়ে যদি আয় করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে আপনার একটি সক্রিয় ফলোয়ার বেস থাকা লাগবে।
এর সাথে সাথে যদি আপনি নিয়মিত ভিডিও, পোস্ট বা স্টোরি আপলোড করতে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার সাথে কাজ করতে আগ্রহী প্রকাশ করবে। এরপর তারা কাজ করতে আগ্রহী হলে তাদের সাথে সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি হলে আপনি ওদের পণ্য প্রচারে সাহায্য করলে আপনাকে একটা কমিশন দিবে।
এভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে আপনার আয় এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আপনাকে যেটা করতে হবে তা হল আপনাকে কনটেন্টে স্পন্সর বা ব্র্যান্ডের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ অরা লাগবে আর ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ও মনিটাইজেশন নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
৫. পেজে পেইড সাবস্ক্রিপশন যোগ
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর মধ্যে অন্যতম আরেকটি উপায় হচ্ছে পেজে পেইড সাবস্ক্রিপশন যোগ করা। পেজে পেইড সাবস্ক্রিপশন বলতে বুঝাচ্ছে আপনার যারা ফলোয়ার আছে তারা মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দিয়ে আপনার এক্সক্লুসিভ কোন কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারবে।
তবে এই সুবিধা নিতে গেলে আপনার কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকবে হবে এবং ফেসবুকের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। একবার যদি আপনার সাবস্ক্রিপশন চালু হয়ে যায় তাহলে আপনি ভিডিও, লাইভ, স্টোরি বা প্রাইভেট গ্রুপের মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ কনটেন্ট দিতে পারবেন।
এখন আপনার ফলোয়াররা যদি চাই তাহলে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দিয়ে আপনার বিসেষ কন্টেন্টগুল উপভোগ করতে পারবেন। আরও ভাল হয় যদি সাবস্ক্রাইবারদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক্ষেত্রে তারা দীর্ঘদিন ধরে আপনার সাথে থাকবে।
আবার মাঝে মাঝে যদি বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট দেওয়া হয় তাহলে দেখবেন সাবস্ক্রিপশন আরও বাড়বে। যারা কন্টেন্ট নির্মাণ করেন তাদের আয় করার জন্য এটি খুব সহজ এবং জনপ্রিয় উপায়। ফেসবুকের এই ফিচারটির নাম "Fan Subscriptions"। এটি ক্রিয়েটর স্টুডিও থেকে চালু করা যায় সেক্ষেত্রে ফলোয়ারদেরকে আগের থেকেই জানিয়ে রাখা জরুরি।
৬. ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর মধ্যে ৬ নম্বর উপায় হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি করে আয়। বর্তমানে যেহেতু ফেসবুক একটি জনপ্রিয় শক্তিশালী মার্কেটপ্লেস তাই এখানে আপনি আপনার বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট যেমন ঐতিহ্যবাহী খাবার, হস্তনির্মিত কারুশিল্প, পুরানো ব্যবহৃত জিনিসপত্র বা স্থানীয় অন্যান্য পণ্য চাইলেই খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মটি একটি বড় বাজার হিসেবে কাজ করে এবং আপনার স্থানীয় প্রোডাক্টগুলিকে পরিচিত করার সুযোগ করে দেয়। এটাতে আপনার সুবিধা যেটা হবে সেটা হল আপনি আপনার নিজের পণ্য প্রচার করতে পারবেন তার পাশাপাশি আপনি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে লাভবানও হতে পারবেন।
এছাড়াও এর আরেকটি ভাল দিক আছে সেটা হল আপনি চাইলে গ্রামীণ কিছু অচেনা প্রোডাক্ট কে সবার সামনে পরিচিতি করিয়ে দিতে পারবেন।
৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১০টি উপায় এর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি চমৎকার উপায়। এক্ষেত্রে আপনি যেটা করতে পারবেন তা হল বিভিন্ন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস প্রচার করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ অংশ নেন তাহলে আপনি বিভিন্ন বড় ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন করে দিতে পারবেন। এটা কিভাবে করবেন তা যেনে নেওয়া দরকার। আপনি যখন কোনো অনলাইন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিবেন এবং তাদের পণ্য প্রচার করবেন তখন আপনাকে তারা একটি লিংক দিবে।
এরপর সেই লিংক দিয়ে কেউ যদি পণ্য কিনে তাহলে আপনি কমিশন আয় করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে এই অ্যাফিলিয়েট লিংক ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় মানুষের আপনার পণ্য খুঁজে পেতে সাহায্য হয় এবং এর বিনিময়ে আপনি কমিশন পান।
৮. অনলাইনে পেইড ইভেন্ট
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের আরেকটি উপায় হচ্ছে টাকার বিনিময়ে অনলাইন ইভেন্ট আয়োজন করা। এই ইভেন্ট যদি আয়জন করতে চান তাহলে আপনাকে পেইড ইভেন্ট ফিচার চালু করতে হবে এবং এর পাশাপাশি টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
এই ইভেন্টে যারা আগ্রহী হবে তারা টাকা দিয়ে এই ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে আর এইভাবে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটা ব্যপার খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে অবশ্যই মনিটাইজেশন শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
যদি একবার আপনি অনুমোদন পান তাহলে আপনি নিয়মিত এই ইভেন্ট আয়োজন করে আয় করতে পারবেন।
৯. ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং
একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যদি কোনো একটা বিষয়ে একটু ভালো জানেন বা পারেন ধরেন রান্না, ফিটনেস, ডিজিটাল মার্কেটিং, পড়ানো ইত্যাদি তাহলে চুপচাপ বসে না থেকে আগে ফেসবুকে একটা গ্রুপ খুলে ফেলুন। ভয় পাবেন না এক্ষেত্রে প্রথমে মানুষ কম থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।
এরপর আপনি যেটা পারেন বা জানেন, সেটা নিয়ে নিয়ম করে কিছু কন্টেন্ট শেয়ার করুন। হতে পারে সেটা একটা সহজ টিপস, ছোট একটা ভিডিও বা দুই-চার লাইনের কোনো উপকারি লেখা। আপনি চাইলে মাঝে মাঝে ছোট্ট করে ফ্রি ওয়েবিনারও করতে পারেন।
এতে করে যারা গ্রুপে আছেন তারা উপকৃত হবে এর পাশাপাশি একবার যদি কেউ উপকার পায়, তখন সে নিজেই অন্যদেরকে বলবে এই গ্রুপে আসতে। এভাবেই আস্তে আস্তে গ্রুপে মানুষ বাড়তে থাকবে। আপনি যত বেশি ভ্যালু দিতে পারবেন, মানুষ তত বেশি যুক্ত থাকবে আর যখন আপনার গ্রুপে নিয়মিত মানুষ আসবে তখন আপনি চাইলে স্পনসরশিপ, বিজ্ঞাপন বা নিজের কোর্স বেচে আয় করতেও পারবেন।
সবচেয়ে বড় কথা, এটা শুধু ইনকামের একটা রাস্তা না, এটা হলো একটা সুন্দর কমিউনিটি বানানোর সুযোগ। একটা পরিবার তৈরি হবে যেখান থেকে আপনার নিজের পরিচিতি তৈরি হবে মানুষ আপনাকে চিনবে, বিশ্বাস করবে।
তাই আজ থেকেই শুরু করুন। নিজের জানা জিনিসগুলো অন্যদের উপকারে লাগান। আয় তো আসবেই, তার আগে আসবে সম্মান।
১০. ফলোয়ারদের আপনার অনলাইন স্টোরে নিয়ে যান
যদি আপনি ফেসবুকে কিছু পণ্য বিক্রি করেন যেমন হাতে বানানো জিনিস, জামা কাপড়, কিংবা ডিজিটাল সার্ভিস এখন যদি চান, ক্রেতারা যেন সহজে আপনার ফেসবুক পেইজে আসতে পারে এবং পণ্য কিনতে পারে তাহলে একটা সহজ উপায় হলো আপনার ফেসবুক পেইজে "ক্যাটালগ ম্যানেজার"এ পণ্যের তালিকা যোগ করে দেওয়া।
এর মানে হল, আপনি যেই পণ্যগুলো বিক্রি করছেন, সেগুলোর ছবি, দাম, বিবরণ এসব দিয়ে সুন্দরভাবে লিস্ট বানিয়ে রাখবেন। এরপর আপনি যখন কোনো পোস্ট করবেন, ভিডিও দিবেন বা লাইভে আসবেন, তখন এই পণ্যের লিংকগুলো সঙ্গে দিয়ে দিবেন। এতে করে যেকোনো মানুষ চাইলেই সরাসরি ওই লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি কিনে নিতে পারবে।
আর আপনি যদি ডিজিটাল পণ্য (যেমন: ডিজাইন, ই-বুক, কোর্স) অনলাইন সার্ভিস (যেমন: কনসালটিং, কন্টেন্ট লেখা, ডিজিটাল মার্কেটিং) বা নতুন কোনো অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক বড় সুযোগ।
কারণ মনে রাখবেন, পুরো দুনিয়ায় প্রতি মাসে প্রায় ২৯০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এত মানুষের ভেতর থেকে যদি আপনি ঠিকঠাকভাবে পণ্য তুলে ধরেন, তাহলে বড় ব্যবসায়ী হওয়া মোটেও কঠিন কিছু না।
সোজা কথা আপনার কাজটা আগে মানুষের চোখে তুলে ধরতে হবে। কাজ ভালো হলে, প্রেজেন্টেশন ভালো হলে, ক্রেতা নিজেই আপনার কাছে আসবে। তাই সময় নষ্ট না করে, আজ থেকেই একটু একটু করে শুরু করে দিন
লেখকের মন্তব্য
ফেসবুক শুধু বন্ধু বানানোর জায়গা না, চাইলে এখান থেকে টাকা আয়ও করা যায়। কেউ যদি নিজের কোনো দক্ষতা বা সৃজনশীলতা নিয়ে কাজ শুরু করে, তাহলে ধীরে ধীরে একটা ভালো ব্যবসাও গড়ে তুলতে পারে।
শুরুটা একটু ধৈর্য নিয়ে করতে হয়। নিয়মিত চেষ্টা, ঠিকঠাকভাবে পোস্ট দেওয়া, আর যারা আপনার পণ্যে বা সেবায় আগ্রহী তাদের লক্ষ্য করে কাজ করলে আস্তে আস্তে আয় বাড়তে থাকে। এক সময় দেখবেন, আপনি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গেছেন।
বাইরের কারও কাছে হাত পাততে হচ্ছে না। নিজেই নিজের একটা ইনকামের রাস্তা বানিয়ে ফেলেছেন। তাই কেউ যদি মন থেকে চেষ্টা করে, তাহলে ফেসবুক থেকেই সে সাবলম্বী হতে পারে। পোস্টটা যদি ভালো লাগে, তাহলে কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আর কমেন্টে লিখে জানান, আপনি কী ভাবছেন আপনার একটুখানি সাপোর্ট একটা নতুন শুরুতে অনেক বড় সাহস দিতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url