২০২৫ সালে বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম এর সর্বশেষ আপডেট পেতে এই পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আশা করি আজকের তথ্য আপনাদের কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ করবে। তাই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রতি বছরের মত ২০২৫ সালে বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম এর সর্বশেষ আপডেট পেতে মূল আলোচনায় চলে যান।
২০২৫ সালে বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম
২০২৫ সালে বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম কত হলো তা জানাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন মূল্য ঘোষণা করেছে যা ২৩ অক্টোবর বুধবার থেকে কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।
নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী এখন ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ভরি অর্থাৎ ১১.৬৬৪ গ্রাম এখন ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫১ টাকা। আবার ২১ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ১৩৮ টাকা।
২২ ক্যারেট ১ ভরি সোনার দামের উপর ভিত্তি করে প্রতি আনা সোনার দাম
বর্তমান সোনা | বাংলাদেশি টাকায় সোনার দাম |
১ আনা সোনা | ৮,৮৭১.৯৩ টাকা। |
২ আনা সোনা | ১৭,৭৪৩.৮৭ টাকা। |
৩ আনা সোনা | ২৬,৬১৫.৮১ টাকা। |
৪ আনা সোনা | ৩৫,৪৮৭.৭৫ টাকা। |
৫ আনা সোনা | ৪৪,৩৫৯.৬৮ টাকা। |
৬ আনা সোনা | ৫৩,২৩১.৬২ টাকা। |
৭ আনা সোনা | ৬২,১০৩.৫৬ টাকা। |
৮ আনা সোনা | ৭০,৯৭৫.৫ টাকা। |
৯ আনা সোনা | ৭৯,৮৪৭.৪৩ টাকা। |
১০ আনা সোনা | ৮৮,৭১৯.৩৭ টাকা। |
১১ আনা সোনা | ৯৭,৫৯১.৩১ টাকা। |
১২ আনা সোনা | ১,০৬,৪৬৩.২৫ টাকা। |
১৩ আনা সোনা | ১,১৫,৩৩৫.১৮ টাকা। |
১৪ আনা সোনা | ১,২৪,২০৭.১২ টাকা। |
১৫ আনা সোনা | ১,৩৩,০৭৯.০৬ টাকা। |
১৬ আনা সোনা | ১,৪১,৯৫১ টাকা |
২১ ক্যারেট সোনার দামের উপর ভিত্তি করে প্রতি আনা সোনার দাম
বর্তমান সোনা | বাংলাদেশি টাকায় সোনার দাম |
১ আনা সোনা | ৮,৪৬৮.৮১ টাকা |
২ আনা সোনা | ১৬,৯৩৭.৬২ টাকা |
৩ আনা সোনা | ২৫,৪০৬.৪৩ টাকা |
৪ আনা সোনা | ৩৩,৮৭৫.২৫ টাকা |
৫ আনা সোনা | ৪২,৩৪৪.০৬ টাকা |
৬ আনা সোনা | ৫০,৮১২.৮৭ টাকা |
৭ আনা সোনা | ৫৯,২৮১.৬৮ টাকা |
৮ আনা সোনা | ৬৭,৭৫০.৫ টাকা |
৯ আনা সোনা | ৭৬,২১৯.৩১ টাকা |
১০ আনা সোনা | ৮৪,৬৮৮.১২ টাকা |
১১ আনা সোনা | ৯৩,১৫৬.৯৩ টাকা |
১২ আনা সোনা | ১,০১,৬২৫.৭৫ টাকা |
১৩ আনা সোনা | ১,১০,০৯৪.৫৬ টাকা |
১৪ আনা সোনা | ১,১৮,৫৬৩.৩৭ টাকা |
১৫ আনা সোনা | ১,২৭,০৩২.১৮ টাকা |
১৬ আনা সোনা | ১,৩৫,৫০১ টাকা |
১৮ ক্যারেট সোনার দামের উপর ভিত্তি করে প্রতি আনা সোনার দাম
বর্তমান সোনা | বাংলাদেশি টাকায় সোনার দাম |
১ আনা সোনা | ৭,২৫৮.৬২ টাকা। |
২ আনা সোনা | ১৪,৫১৭.২৫ টাকা। |
৩ আনা সোনা | ২১,৭৭৫.৮৭ টাকা। |
৪ আনা সোনা | ২৯,০৩৪.৫ টাকা। |
৫ আনা সোনা | ৩৬,২৯৩.১২ টাকা। |
৬ আনা সোনা | ৪৩,৫৫১.৭৫ টাকা। |
৭ আনা সোনা | ৫০,৮১০.৩৭ টাকা। |
৮ আনা সোনা | ৫৮,০৬৯ টাকা। |
৯ আনা সোনা | ৬৫,৩২৭.৬২ টাকা। |
১০ আনা সোনা | ৭২,৫৮৬.২৫ টাকা। |
১১ আনা সোনা | ৭৯,৮৪৪.৮৭ টাকা। |
১২ আনা সোনা | ৮৭,১০৩.৫ টাকা। |
১৩ আনা সোনা | ৯৪,৩৬২.১২ টাকা। |
১৪ আনা সোনা | ১,০১,৬২০.৭৫ টাকা। |
১৫ আনা সোনা | ১,০৮,৮৭৯.৩৭ টাকা। |
১৬ আনা সোনা | ১,১৬,১৩৮ টাকা। |
নিচে সোনার বর্তমান মূল্য এবং পূর্বের মূল্যের তুলনামূলক পরিবর্তন নিচে তুলে ধরা হল,
- ১৮ ক্যারেট সোনার বর্তমান মূল্য ১ ভরিতে ১,১৬,১৩৮ টাকা যা পূর্বে ছিল ১,১৪,৫৯৯ টাকা যা প্রতি ভরিতে ১,৫৩৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
- ২১ ক্যারেট সোনার বর্তমান মূল্য ১ ভরিতে ১,৩৫,৫০১ টাকা যা পূর্বে ছিল ১,৩৩,৭০৪ টাকা যা প্রতি ভরিতে ১,৫৩৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
- ২২ ক্যারেট সোনার বর্তমান মূল্য ১ ভরিতে ১,৪১,৯৫১ টাকা যা পূর্বে ছিল ১,৪০,০৬১ টাকা যা প্রতি ভরিতে ১,৫৩৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
- সনাতন পদ্ধতিতে সোনার বর্তমান মূল্য ১ ভরিতে ৯৫,৪২৩ টাকা যা পূর্বে ছিল ৯৪,১১৭ টাকা যা প্রতি ভরিতে ১,৫৩৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোনার বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার
বিশ্বজুড়ে সোনা একটি প্রসিদ্ধ ধাতু এর কারন এর উজ্জ্বল রঙ, স্থায়িত্ব, এবং নমনীয়তার জন্য। সোনা শুধুমাত্র অলংকার এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়না বরং শিল্প ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ ব্যাপক।
সোনার বৈশিষ্ট্য
সোনার নিজের একটি উজ্জ্বল হলুদ রঙ আছে যা অন্যান্য ধাতুর চেয়ে নিজেকে আলাদা করে এবং চোখে পড়ার মত। অলংকার তৈরিতে এটি মূলত বেশি ব্যবহৃত হয় যার ফলে অলংকারে নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
সোনা একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং সংরক্ষণযোগ্য ধাতু। এটাতে সহজে জারণ বা মরিচা ধরে না আবার বায়ু বা জলেও ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।
প্রতি এক গ্রাম সোনা থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ জটিল ডিজাইনের দীর্ঘ তার তৈরি করা সম্ভব কারন সোনা হচ্ছে অত্যন্ত নমনীয় ও প্রসারযোগ্য ধাতু।
সোনা সংবেদনশীল বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কারন এটি তাপ ও বিদ্যুতের খুবই ভালো পরিবাহী।
সোনার ব্যবহার
- সোনা প্রধানত অলংকার শিল্পে বেশি ব্যবহৃত হয়। গহনা তৈরিতে বিভিন্ন ক্যারেটের সোনা ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে সোনার গহনার কদর অনেক বেশি বিশেষ করে বিয়ে এবং অন্যান্য পারিবারিক অনুষ্ঠানে।
- আন্তর্জাতিক বাজারের সোনাকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারন এর দাম উঠানামা করলেও এর মূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে। বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম প্রতিদিনের বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়।
- সোনার একটি বিশেষ গুন আছে। এর দারা তৈরিকৃত তার চমৎকার পরিবাহী গুণাবলি সমৃদ্ধ। এর জন্য কম্পিউটার চিপ, মোবাইল, এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য তৈরি করতে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।
- একসময় সোনা মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এখন বিভিন্ন দেশে এটি সোনার বার এবং কয়েন বিনিয়োগ হিসেবে বা মানদণ্ড হিসাবে সংরক্ষণ হচ্ছে।
- অবাক করা হলেও সত্য বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সোনার ব্যবহার বেড়েছে, যেমন দাঁতের চিকিৎসা এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সোনার ব্যবহার অনেক।
সোনার এই বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য এবং বহুমুখী ব্যবহারই একে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান সম্পদে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশে সোনার দাম কীভাবে চেক করবেন?
বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম কিভাবে নির্ধারণ হয় তা জানা আমাদের প্রত্যেকের জন্য জরুরি।
স্বর্ণকে সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে পরিমাপ করা যায়:
১. গ্রাম হিসেবে।
২. আনা এবং রতি হিসেবে।
প্রথম পদ্ধতি: ভরি ও গ্রাম অনুযায়ী হিসাব
আপনি দোকানে গিয়ে বলতে পারেন, "গ্রাম দিয়ে ওজন করুন।" স্বর্ণের ওজন বের করার সূত্র হলো:
অর্থাৎ,
ভরি=১১.৬৬৪ক্রয়কৃত স্বর্ণের ওজন (গ্রামে)
উদাহরণ:
ধরুন, দোকানদার আপনাকে ৬.৭৭৯ গ্রাম ওজনের একটি অলংকার দিলেন। ভরিতে এটি হবে:
১১.৬৬৪৬.৭৭৯ গ্রাম = ০.৫৮১ ভরি
যদি প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪৮,০০০ টাকা হয়, তবে অলংকারটির দাম হবে:
০.৫৮১ ভরি×৪৮,০০০ টাকা = ২৭,৮৯৭ টাকা
আরও একটি উদাহরণ: ধরুন, একটি গয়নার ওজন ১৮.৬৪৩ গ্রাম। এটি ভরিতে ক্যালকুলেট করতে চাইলে,
১১.৬৬৪১৮.৬৪৩ গ্রাম = ১.৫৯৮ ভরি
যদি প্রতি ভরি সোনার দাম ৪২,০০০ টাকা হয়, তাহলে গহনাটির দাম হবে:
১.৫৯৮ ভরি×৪২,০০০ টাকা = ৬৭,১৩০ টাকা
দ্বিতীয় পদ্ধতি: আনা, রতি এবং পয়েন্ট ভিত্তিক হিসাব
বাংলাদেশে আনা, রতি ও পয়েন্টের এককগুলো প্রচলিত। এর পরিমাপের মান নিম্নরূপ:
- ১ ভরি = ১৬ আনা
- ১ ভরি = ৯৬ রতি
- ১ ভরি = ৯৬০ পয়েন্ট
- ১ আনা = ৬ রতি
- ১ রতি = ১০ পয়েন্ট
আনা, রতি এবং পয়েন্ট থেকে ভরি বের করার নিয়ম:
ধরুন, আপনি ৮ আনা ৫ রতি ৩ পয়েন্ট স্বর্ণ কিনেছেন। এটিকে ভরিতে রূপান্তরের সূত্র:
ভরি=(১৬আনা)+(৯৬রতি)+(৯৬০পয়েন্ট)
তাহলে,
= (১৬৮)+(৯৬৫)+(৯৬০৩) = ০.৫+০.০৫২+০.০০৩ = ০.৫৫৫ ভরি
প্রতি ভরি সোনার দাম যদি ৬০,০০০ টাকা হয়, তাহলে গহনাটির দাম হবে:
০.৫৫৫ ভরি×৬০,০০০ টাকা = ৩৩,৩০০ টাকা
এভাবে সহজেই আপনি সোনার ওজন এবং মূল্য বের করতে পারেন।
২০২৫ সালে সোনার দাম কীভাবে নির্ধারণ হয়? জানুন আজকের মূল্যসূচক
সোনার দাম নির্ধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন ভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। চলুন, আমরা বিস্তারিতভাবে জানি কিভাবে সোনার দাম নির্ধারণ হয় এবং এর মূল্যসূচক কীভাবে কাজ করে।
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
আন্তর্জাতিক বাজারের উপর সোনার মূল্য প্রধানত নির্ভরশীল হয়। সোনার দাম নির্ধারণ করে লন্ডন গোল্ড ফিক্সিং। এটি দিনে দুটি সময়ে নির্ধারণ করে আর এটি সোনার মূল্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করে।
চাহিদা এবং সরবরাহ
সোনার চাহিদা এবং সরবরাহের উপর সোনার দাম নির্ধারণ হয়। সোনার ব্যবহারের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হলো:
- গহনা উৎপাদন
- প্রযুক্তিগত ব্যবহার
- বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কেনাকাটা
সোনার সরবরাহ যদি সীমিত হয় কিন্তু চাহিদা বেশি থাকে তাহলে সোনার দাম বাড়ে আবার একইভাবে সরবরাহ বেশি চাহিদা কম তাহলে দাম কমে।
মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থান
সোনার দামকে প্রভাবিত করার পেছনে মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অবদান রাখে। সাধারণভাবে যেটা দেখা যায় মুদ্রাস্ফীতি যখন বাড়ে তখন মানুষ সোনায় বিনিয়োগ করে যার ফলে দাম বৃদ্ধি পায়। এটা ছাড়াও যখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান দুর্বল হয় তখন সোনার চাহিদা বাড়ে যেটা দাম বাড়ানোর দিকে পরিচালিত করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা
বিভিন্ন দেশের যেসব কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি আছে সেগুলো সোনার সাথে সম্পর্কিত নীতিমালা গ্রহণ করে থাকে। তারা যেটা করে সেতা হল তারা সোনা কেনা বা বিক্রি করে বাজারে সোনার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার রিজার্ভ বাড়ানো বা কমানো সরাসরি সোনার দামের ওপর প্রভাব ফেলে।
স্থানীয় বাজারের অবস্থা
বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারের অবস্থা সোনার দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।দেশীয় জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন যেটা আরেকভাবে আমরা জানি বাজুস পরিচয়ে। বাজুস সোনার দামের পরিবর্তন ঘোষণা করে যার ফলে এটি এটি সোনার দামকে স্থানীয় বাজারে প্রভাবিত করে।
রাজস্ব ও শুল্ক
সরকারের রাজস্ব নীতি ও শুল্ক সোনার দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। সোনা আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেলে দাম বেড়ে যেতে পারে।
প্রযুক্তি এবং উৎপাদন খরচ
সোনার দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রযুক্তি এবং খরচ জানা জরুরি কারন উৎপাদন খরচ দামের উপর প্রভাব ফেলে। এই দাম নির্ধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এটি বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
আজকের মূল্যসূচক অনুসারে যদি জানতে চান তাহলে বলতে হয় আজকের সোনার দামের বর্তমান পরিস্থিতি আজকের মূল্যসূচক অনুসারে। তাই এক্ষেত্রে সোনার দাম যদি জানতে চান তাহলে এই সকল বিষয়ের উপর নজর রাখা জরুরি।
সোনার দামে উত্থান-পতন: ২০২৫ সালে বাংলাদেশে সোনার বাজারের বিশ্লেষণ
২০২৫ সালে সোনার দামের বর্তমান পরিস্থিত এবং দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারে একাধিক উথান-পতন দেখা গেছে।
সম্প্রতি, বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারে দেখা গেছে একাধিক উত্থান-পতন, যেখানে গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) মোট ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে।
এর মধ্যে ৮ বার স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে, যা দেশের স্বর্ণের বাজারের জন্য একটি বড় পরিবর্তন। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৪২০ টাকা কমে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববাজারের দামের সাথে সাথে দেশের বাজারেও সোনার দাম পরিবর্তিত হয়।
বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা এবং ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার নির্ধারণ নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে স্বর্ণের বাজারে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এপ্রিল মাসে, বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২৪৩১.৫১ ডলারে পৌঁছে ছিল, তবে বর্তমানে দাম কমতির দিকে রয়েছে।
এপ্রিল মাসের শুরুতে দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা গেলেও, মাসের শেষের দিকে ধস নামে স্বর্ণের বাজারে। এর ফলে দেশের বাজারে সোনার দাম ক্রমাগত নিম্নমুখী হয়েছে যা প্রমাণ করে যে, বাজারের চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর এই দামের ওঠানামা নির্ভর করে।
বিশেষ করে, দেশের ক্রেতাদের জন্য এই পরিবর্তনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারের পরিবর্তনের সাথে সাথে স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়, যার ফলে ক্রেতাদের জন্য সঠিক দামে সোনা কিনতে সুবিধা হয়।
বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম বর্তমানে ভরিতে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এই বাজারের গতিপথের একটি সঠিক নির্দেশক। এই প্রেক্ষাপটে, স্বর্ণের দাম কিভাবে ওঠানামা করে তা বুঝতে হলে আন্তর্জাতিক বাজারের খবর, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং স্থানীয় চাহিদা-সরবরাহের উপর নজর রাখা জরুরি
লেখকের মন্তব্য
সোনার দাম অনেকগুলো বৈশ্বিক এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উপাদানের উপর নির্ভরশীল, যেমন মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার মূল্য এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এই উপাদানগুলো সোনাকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ও লাভজনক করে তোলে। তাই সঠিক সময়ে সোনায় বিনিয়োগ করলে এটি ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম সংক্রান্ত পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বেশি বেশি শেয়ার করে পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url